গুজরাট, হায়দরাবাদ, কলকাতার পর প্লে অফে `বিরাট কোহলি`
গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আর এই ম্যাচটা যে জিতবে, গুজরাট, হায়দরাবাদ, কলকাতার পর তারাই উঠবে সেমিফাইনালে। এই ছিল সমীকরণ।
ওয়েব ডেস্ক: গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আর এই ম্যাচটা যে জিতবে, গুজরাট, হায়দরাবাদ, কলকাতার পর তারাই উঠবে সেমিফাইনালে। এই ছিল সমীকরণ।
অবশেষে ম্যাত জিতে নিল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরই। দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসকে ১১ বল বাকি থাকতে তারা হারিয়ে দিল ৬ উইকেটে। শুধু তাই নয়, পয়েন্ট টেবলে তারা থাকল দ্বিতীয় স্থানে। রায়পুরে এদিনের ম্যাচে টস জিতে দিল্লিকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ডেয়ার ডেভিলসরা তোলে মাত্র ১৩৮ রান। হ্যাঁ, বিরাট, ওয়াটসন, গেইল, এবি ডিভিলিয়ার্সদের সামনে ওই রানটা যে মাত্রই। দিল্লির হয়ে সবথেকে বেশি রান করেন কুইন্টন ডিকক। ৫২ বল খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার করেন ৬০ রান। যদিও অন্য ওপেনার রিশব পান্থ রান পাননি। তিনি মাত্র ২ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান। ১০ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলেন দিল্লির আগের ম্যাচের নায়ক করুন নায়ার। সঞ্জু স্যামসন করেন ১২ বলে ১৭ রান। এরপর বিলিংস আউট হন ৪ রান করে। পবন নেগি আউট হন মাত্র ৬ রান করে। টি২০ বিশ্বকাপের নায়ক ব্রেথওয়েট করেন ২ বলে ১ রান। ক্রিস মরিস অবশ্য অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে। আরসিবির হয়ে তিন উইকেট নেন যজুবেন্দ্র চাহাল। দুটো উইকেট পান ক্রিস গেইলও। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন অরবিন্দ এবং জর্ডন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গেইল এবং এবি ডিভিলিয়ার্সকে শুরুতেই হারায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। গেইল ৪ বল খেলে ১ রান করে আউট হয়ে যান। এবি ডিভিলিয়ার্সের অবদান ৮ বলে ৬ রান। লোকেশ রাহুল অবশ্য বিরাট কোহলিকে খানিকটা সঙ্গ দেন। রাহুল করেন ২৩ বলে ৩৮ রান। ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান শেন ওয়াটসনও। এত কিছুর পরেও আরসিবির জিততে অসুবিধা হয়নি। কারণ, তাদের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। এদিনও খেললেন দুর্দান্ত ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ঝোড়ো নয়, প্রয়োজনীয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী। শেষ পর্যন্ত কোহলি অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৫৪ রান করে। বিনি অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১৬ রান করে। আরসিবি ম্যাচ জেতে ৬ উইকেটে। রাহুল দ্রাবিড় প্রমাণ করলেন, এখনও তিনি তেমনই আছেন। খুব ভালো। কিন্তু প্রথম নন। তাই বহুবছর পর তাঁর হাত ধরে ভাবা হয়েছিল, দিল্লি এবার আইপিএলে ভালো কিছু করবে। কিন্তু কোথায় কী! প্রতি ম্যাচে দল বদলেছেন বটে। কিন্তু দিল্লির পারফরম্যান্স বদলাতে পারলেন না। ঠিক তেমনই বিরাটও প্রমাণ করলেন, সেরা তিনিই। ২০১৬ তে টি২০ ক্রিকেটে তাঁর ১৭ টা ৫০ হয়ে গেল! আইপিএলের প্লে অফে প্রথম চারটে দল এই ক্রমপর্যায়ে। এক নম্বরে গুজরাট লায়ন্স, দু নম্বরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, তিন নম্বরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স চার নম্বরে। মুম্বই থাকল পাঁচ নম্বরে। ছয়ে দিল্লি, সাতে পুনে এবং সবার শেষে পাঞ্জাব।