জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের সৌজন্যে (The Indian Premier League, IPL) ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিদেশি ক্রিকেটারদের এক অসাধারণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুধু এক সঙ্গে মাঠে খেলা বা ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়াই নয়, এক সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করা, এই বিষয়গুলিও জুড়ে যায়। দেখতে গেলে পরিবারের মতো হয় যায় এক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। যেখানে থাকে না দেশ-সীমানার গণ্ডি। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন কিংবদন্তি ব্যাটার ও অধিনায়ক রস টেলর (Ross Taylor) ২০০৮-২০১৪ পর্যন্ত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চারটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএল খেলেছেন। ২০০৮-১০ পর্যন্ত তিনি ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে (RCB), এরপর ২০১১ সালে রাজস্থান রয়্যালসে (Rajasthan Royals) খেলে ২০১২ সালে খেলেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে (অধুনা দিল্লি ক্যাপিটালস)। এর পরের বছর পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ায় খেলে ফের দিল্লিতে নাম লেখান টেলর। দিল্লিতে থাকাকালীনই টেলর এক দুরন্ত ব্যাটিং টিপস পেয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগের থেকে। সেই গল্পই তিনি লিখেছেন নিজের আত্মজীবনী 'রস টেলর: ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট'-এ (Ross Taylor: Black & White)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: IPL, Ross Taylor : শূন্যতে আউট হতেই চড় মেরেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের মালিক! বোমা ফাটালেন রস টেলর


২০১২ সালে টেলর দিল্লিতে ১.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দিল্লিতে এসেছিলেন। তিনি বইতে লিখেছেন, 'শেহওয়াগের রেস্তোরাঁয় আমাদের এক অবিস্মরণীয় রাত কেটেছিল। টিমের অনেকেই ওদিন রেস্তোরাঁয় বড় পর্দায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বনাম কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের ম্যাচ দেখছিল। প্রিমিয়র লিগের ফাইনাল রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল। স্টপেজ টাইমে সের্জিয় আগুয়েরোর গোলে সিটি ৩-২ ম্যাচ জিতেছিল। ৪৪ বছরে ওদের প্রথম খেতাব এসেছিল। ওর রেস্তোরাঁয় খাবার অসাধারণ। বিশেষত চিংড়ির পদ। আমি খেয়েই যাচ্ছিলাম। থামাতে পারছিলাম না নিজেকে। জানতাম না শেহওয়াগ দেখছে আমাকে। এর ঠিক পরের দিনই আমাদের ম্যাচ ছিল। শেহওয়াগ মাঠের সর্বত্র বল মারছিল। দেখে কী সহজ মনে হচ্ছিল! আমাকে নিয়ে দলের বিদেশি ব্যাটাররা রান করার জন্য রীতিমতো লড়াই করছিলাম। আমার খুব নার্ভাস লাগছিল। কারণ বিরাট টাকায় আমি এসেছিলাম। আমাকে ডেলিভারি করতেই হতো। যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম। তখন খুব চাপে ছিলাম। অথচ শেহওয়াগ কী প্রচণ্ড রিল্যাক্সড। ও গ্লাভস পরা হাতে আমাকে ঘুষি মেরে বলেছিল, রস যেভাবে চিংড়ি খাচ্ছিলে, ওভাবে ব্যাট করো। শেহওয়াগকে দেখে মনে হতো ক্রিকেট ওর হবি। মজা করার জন্য খেলে। এরপর থেকে যখনই আমার সঙ্গে শেহওয়াগের দেখা হয়েছে, ও শুধু আমাকে চিংড়ির কথাই মনে করিয়েছে।' টেলরের আত্মজীবনী প্রকাশিত হওয়ার পরেই প্রতিদিন এরকম নানা ভিন্ন স্বাদের খবর সামনে আসছে।


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App