নিজস্ব প্রতিবেদন- আইপিএলের ভবিষ্যৎ কী? সারা বিশ্বের ক্রিকেট সমর্থকদের মনে এখন এই একটাই প্রশ্ন। করোনাভাইরাসের প্রকোপে চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎও অন্ধকার। বিসিসিআই ইঙ্গিত দিয়েছে, বিশ্বকাপ যদি শেষমেষ বাতিল হয় তাহলে ওই উইন্ডোতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে কয়েকদিন আগে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ফাঁকা স্টেডিয়ামেও হতে পারে আইপিএল। বিসিসিআই বেশ কয়েকটি বিকল্প রাস্তা নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু কোনওটাই এখনো পাকা নয়। আসলে আইপিএল একেবারে বাতিল হয়ে গেলে বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে বিসিসিআই-এর। তাছাড়া আইপিএলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বহু মানুষের রুজি-রোজগার। লোক না এনে আইপিএল আয়োজন করা গেলেও অন্তত কিছু টাকা লোকসান এড়ানো যাবে। ইতিমধ্যে সম্প্রচারক, বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে বিসিসিআই। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেসব চুক্তি বাতিলের সুযোগ নেই। বিসিসিআই চাইছে যেনতেন প্রকারে আইপিএল আয়োজন করতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফাঁকা মাঠে খেলে লাভ কী ক্রিকেটাদের! ফাঁকা মাঠে আইপিএল আয়োজন নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন সচিন তেন্ডুলকর। দুদিন আগে সুনীল গাওয়াস্কার বলেছিলেন, অক্টোবরের আগে যেন কোনওমতেই মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা না হয়। কারণ লকডাউন খোলার পর গোটা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। যত বেশি টেস্ট করা হচ্ছে তবে বেশি আক্রান্ত রোগীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে। সচিন অবশ্য বলছেন, মাঠে যেন অন্তত ২৫ শতাংশ দর্শক এনে ম্যাচ করানো হয়। কারণ একেবারে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করা হলে ক্রিকেটাররা এনার্জি পাবেন না। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে, এবারের বিশ্বকাপে ২৫ শতাংশ দর্শক নিয়ে ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে। এবার আইপিএল-এর ক্ষেত্রেও একই কথা বললেন সচিন। তিনি বলেছেন, ''কিছু সংখ্যক দর্শককে স্টেডিয়ামে আসতে দিলে ভালই হয়। তাহলে অন্তত এটা বোঝানো যাবে যে আমরা একেবারে স্তব্ধ হয়ে নেই। ধীরে ধীরে হলেও স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগোচ্ছি। তাছাড়া দর্শকরা মাঠে না এলে ক্রিকেটারদের খেলার উৎসাহ থাকবে না। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে বিসিসিআই-এর ভাবা উচিত।'' 


আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়াই খোলা মঞ্চে ভাষণ, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েই করোনা আক্রান্ত আফ্রিদি!


বিসিসিআই আইপিএল আয়োজনের জন্য অক্টোবর-নভেম্বর এর উইন্ডো ভাবছে। আশা করছে, ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ আপাতত স্থগিত হলে ওই উইন্ডোয় আইপিএল আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আইপিএলের আয়োজন আদৌ দেশের মাটিতে হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। গাওয়াস্কার আবার বলেছেন, সেপ্টেম্বরে ভারতে বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। ফলে সেই সময় আইপিএল আয়োজন করা মুশকিল। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আইপিএল আয়োজনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে দেশের বাইরে আইপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েও বিচার বিবেচনা করছে বোর্ড।