মাস্ক ছাড়াই খোলা মঞ্চে ভাষণ, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েই করোনা আক্রান্ত আফ্রিদি!

পাকিস্তানের বেশিরভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় শিফট করানো হয়েছে।

Updated By: Jun 13, 2020, 11:40 PM IST
মাস্ক ছাড়াই খোলা মঞ্চে ভাষণ, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েই করোনা আক্রান্ত আফ্রিদি!

নিজস্ব প্রতিবেদন- টুইট করে শাহিদ আফ্রিদি জানিয়েছিলেন, তিনি করোনা আক্রান্ত। আফ্রিদি লিখেছিলেন, তাঁর সারা শরীরে অসহ্য ব্যথা। বৃহস্পতিবার থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমনের সব রকম উপসর্গ ছিল। তাই শেষমেশ করোনা টেস্ট করান তিনি। টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পাকিস্তানের করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকেই আফ্রিদি মাঠে নেমে কাজ করছিলেন। দুস্থ মানুষদের সাহায্যের জন্য পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী বালুচিস্তানের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েও ত্রাণ বিলি করেছিলেন আফ্রিদি। তবে জানা যাচ্ছে, মূলত পাক অধিকৃত কাশ্মীর মুজাফ্ফরাবাদে গিয়েই আফ্রিদির শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়। কিছুদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে খোলা মঞ্চ থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন আফ্রিদি। সেদিন ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে যা নয় তাই বলেছিলেন। আফ্রিদির সেদিনের ভাষণের পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা আফ্রিদির তুলোধনা করেছিলেন। 

পাকিস্তানের বেশিরভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় শিফট করানো হয়েছে। মুজাফ্ফরাবাদ ছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় বেশিরভাগ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছিল। এছাড়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক হাসপাতালে চলছিল করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। তবে সেইসব হাসপাতালের চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত পিপিই পাচ্ছিলেন না। এই নিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকী ওই অঞ্চলে করোনা টেস্টের ল্যাব পর্যাপ্ত ছিল না। সেই নিয়েও ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল। এসবের মাঝেই আফ্রিদি হঠাৎ করে চলে যান মুজা্ফ্ফরাবাদে। তারপর খোলা মঞ্চ থেকে ভাষণ দেন। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। এমনকী আফ্রিদির মুখে মাস্ক ছিল না। তাঁর আশেপাশে থাকা বেশ কিছু মানুষের মুখেও মাস্ক ছিল না।বলতে গেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় নিশ্চিত না করেই আফ্রিদি চলে গিয়েছিলেন মানুষের মাঝখানে। আর এই অসাবধানতার জন্যই এবার মাশুল গুণতে হচ্ছে আফ্রিদিকে।

আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত আফ্রিদি! কী বললেন গৌতম গম্ভীর?

এর আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন ওপেনার তৌফিক ওমর করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ ছিল না। কিন্তু দু তিন দিন ধরে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শেষমেশ ওমর করোনা টেস্ট করান। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। দিন কয়েক বাদে আবার টেস্ট করান। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাকিস্তানের দুজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের মৃত্যু হয়েছে। ৫১ বছর বয়সী রাইজ শেখ এবং ৫০ বছর বয়সী প্রাক্তন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটার জাফর সরফরাজ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। পাকিস্তানে এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৫ হাজার। আড়াই হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত মানুষ সেখানে মারা গিয়েছেন।

.