WATCH | Shahid Afridi: শ্বশুরমশাইয়ের ব্যাটিংয়ে থ বাইশ গজ, বিস্ফোরক `বুম বুম` আজও যেন আঠারোর!
Shahid Afridi rolls back the clock in PSL exhibition match to make fans nostalgic: কেউ যদি বলে যে, আফ্রিদির এখন বয়স ৪৬ বছর। তা মানতে রীতিমতো কষ্ট হবে। যেরকম ফিটনেস তিনি ধরে রেখেছেন, আর যে মেজাজে ফের একবার ব্যাট করলেন, দেখলে মনে হবে বয়সকে তিনি আঠারোতেই আটকে রেখেছেন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শাহিদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) বয়স কত? ১৯৭৭ সালে জন্ম হয়ে থাকলে তাঁর বয়স এখন ৪৬। কিন্তু আফ্রিদির ব্যাটিং দেখলে মনে হবে 'বুম বুম'-এর বয়স আটকে সেই আঠারোতেই। গত শনিবার আফ্রিদি তাঁর মেজো মেয়ে আনশার (Ansha Afridi) সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির (Shaheen Shah Afridi)। করাচিতে (Karachi) মেয়ের বিয়ে দিয়ে আফ্রিদি তার পরের দিনই চলে এসেছেন কোয়েটায় (Quetta)। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক প্রধান অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তান সুপার লিগে (Pakistan Super League, PSL)। নবাব আকবর খান বুগতি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (Nawab Akbar Khan Bugti Cricket Stadium) পেশওয়ার জালমি ও কোয়েতা গ্ল্যাডিয়েটর্সের (Peshawar Zalmi and Quetta Gladiators) মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী ম্যাচে আফ্রিদি খেললেন। শ্বশুরমশাইয়ের বিস্ফোরক ব্যাটিং দেখে থ হয়ে গিয়েছে বাইশ গজ। পাকিস্তানের লালা চেনা মেজাজেই ১৭ বলে করলেন ২৫ রান। তাঁকে ব্যাট হাতে মাঠ মাতাতে দেখে ফ্যানরা ফের উদ্বেল হয়ে গিয়েছেন। আফ্রিদির স্ট্রোক প্লে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন অনুরাগীরা। নস্ট্যালজিয়ায় ডুব দেন তাঁর। ট্যুইটারে আফ্রিদির জন্যই তাঁরা গলা ফাটালেন। আফ্রিদি যেন ঘড়ির কাঁটা পিছন দিকে ঘুরিয়ে দিলেন এদিন।
অন্যদিকে গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চোট পাওয়ার পর থেকেই দলের বাইরে ২২ বছরের পেসার। দ্রুত ফিট হয়ে দলে ফিরতে শ্বশুর শাহিদের সঙ্গেই শাহিন সারছেন ট্রেনিং। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, নেটে ব্যাট হাতে শ্বশুরমশাই। আর তাঁকে বল করছেন শাহিন। এই বয়সেও জামাইয়ের পেসে তুলে শট মারছেন শাহিদ। এমন শ্বশুর-জামাই সম্ভবত দেখেনি বাইশ গজ। আফ্রিদি নির্বাচক প্রধান হয়েই একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য দলে নিয়েছিলেন বাতিল ঘোড়া সরফরজ আহমেদকে। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচিত হয়েছিলেন আফ্রিদি। তবে সরফরাজ রেখেছিলেন আফ্রিদির মুখ। টেস্টে ২০১৪ সালের পরে ফের শতরান করেন তিনি। চার বছর দলে ফিরে বুঝিয়ে দেন যে, তিনি ফুরিয়ে যাননি। আফ্রিদি এও জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানের টি-২০ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে স্ট্রাইক-রেট ১৩৫-এর ওপর রাখতেই হবে। কড়া হাতেই বোর্ড সামলাচ্ছেন আফ্রিদি।