নিজস্ব প্রতিবেদন : বলতে গেলে, তিনি একাই কুম্ভ রক্ষা করেছেন। তবে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে অনেকে সঈফুদ্দিনকে বেশি নম্বর দিয়েছেন। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচেও তিনি জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন। উল্টোদিকে একের পর এক বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান যখন উইকেট ছুড়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন, সঈফুদ্দিন একা দাঁড়িয়ে ভারতীয় বোলিং অ্যাটাক-এর বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁর লড়াই কাজে লাগেনি। ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলার সব আশা শেষ। এসবের মাঝে কোথাও যেন ঢাকা পড়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন দেশের জন্য। ব্যাট ও বল হাতে যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের তরী পাড়ে তুলতে পারেননি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  হেরেও সেমিতে নিশ্চিত কিউয়িরা, কী রকম 'দৈবযোগ' হলে পাকিস্তানের দরজা খুলবে?



সাত ম্যাচে ৫৪২ রান করেছেন তিনি। রোহিত শর্মা বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক। ৫৪৪ রান করেছেন তিনি এখনও পর্যন্ত। তাঁর ঠিক পরেই রয়েছেন সাকিব। মাত্র দুই রানে পিছিয়ে। সাকিবের স্ট্রাইক রেট ৯৭.৮৩। সর্বোচ্চ ১২৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু এসব কিছুই মিশে গেল মাটিতে। বাংলাদেশের অখ্যাত নায়ক হয়ে গেলেন তিনি। ভারতের কাছে হারের পর থেকে মুখ খোলেননি সাকিব। তাঁর হয়ে রেকর্ড ও সমর্থকরা কথা বলছিল। অবশেষে আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। ব্যক্তিগত সাফল্যের উর্ধ্বে দলের পারফরম্যান্স রাখেন তিনি। সাকিব বললেন, ''টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু আমরা তো আর শুধু ভাল ক্রিকেট খেলতে আসিনি। এসেছিলাম জিতব বলে। কিন্তু পারলাম না। দিনের শেষে আমরা তো ব্যর্থ।''


আরও পড়ুন-  পাকিস্তানের শেষ আশার সলিল সমাধি, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড


বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, ইতিহাসের সেরা দল নিয়ে এবার বিশ্বকাপে লড়বে তাদের দেশ। কথাটা ভুল ছিল না। বাংলাদেশের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকরও। দল হিসাবে বাংলাদেশের নিজেদের এবার এক উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সাকিব বলছিলেন, ''আমি সবসময়ই দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। দলের সবাই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমাদের দলের কারও মধ্যে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। তবে কিছু ছোটখাটো ভুল আমরা করেছি। সেগুলো এড়াতে পারলে আজ হয়তো অন্য জায়গায় থাকতে পারতাম আমরা।''