প্রীতম দে- নানা মুনি নানা মত দিচ্ছেন। চেন্নাইয়ের এক বিজ্ঞানী বলেছিলেন, ২১ জুন সূর্যগ্রহণের পরই বিদায় নেবে করোনাভাইরাস! তেমন কিছু হয়নি। আসরে নেমেছেন বাঘা বাঘা জ্যোতিষসম্রাটরা। ভবিষ্যদ্বাণী করছেন তাঁরাও। কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন, এত সহজে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মানুষকে নিষ্কৃতি দেবে না। তবে তাঁদের দলে পড়েন না সৌরভ গাঙ্গুলীর গুরুদেব। মহারাজের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই গুরুদেব কিন্তু বলছেন, পুজোর আগেই এই ভাইরাস বিদায় নেবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্রীযুক্ত হরিপদ শাস্ত্রী। শিক্ষক এবং শাস্ত্রজ্ঞ। বয়সের বিচারে তিনি সেঞ্চুরি করেছেন। শতবর্ষে সেই মাষ্টারমশাইকে সম্মান জানালেন তাঁর অনুরাগীরা। তবে তাঁর জন্মদিন আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠল যে মুহূর্তে তিনি এই ভাইরাসের ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন। রীতিমতো কেক কেটে পালন করা হল তাঁর জন্মদিন। কেকের ওপর ১০০টি বাতি নিভিয়ে জন্মদিনে মেতে উঠলেন হরিপদ শাস্ত্রী। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় প্রবীনদের এখন বাড়ির বাইরে বেরনো বারণ। তবে ১০০ বছর চার মাস বয়সী এই তরুণ পাটভাঙা ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে মাস্ক, হেড ক্যাপ, গ্লাভস সহ সবরকম করোনা কবচ পরে তবেই বেরিয়েছেন। 


আরও পড়ুন-  ক্রিকেট বল থেকে কি করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে? গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য


মাস্টারমশাইয়ের ছাত্ররা বা গুরুমশাইয়ের শিষ্যরা, যাই বলুন না কেন, সবাই তাঁর জন্য একটা দিন বের করেছেন সময় করে। শিষ্যদের ভালবাসা পেয়ে তিনিও বেজায় খুশি। বলিষ্ঠ পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছেন এখনও। কেক কেটেছেন। কথা বলেছেন সবার সঙ্গে। হাসিমুখে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। হরিপদ শাস্ত্রী বললেন, সৌরভের মা আমাকে প্রশ্ন করেছিল, আমার কোন ছেলে ভাল খেলোয়াড় হবে? আমি বলেছিলাম ছোট ছেলে সৌরভ। গুরুর ভবিষ্যদ্বাণী নাকি মিলে যায়। গুরু পূর্ণিমার দিন মহারাজের সেঞ্চুরিয়ান গুরুর ভবিষ্যৎবাণী, পুজোর আগেই ভ্যানিশ হবে করোনা। তাঁর এই এক কথাতেই জমজমাট একশো বছরের তরুণের জন্মদিন।