নিজস্ব প্রতিবেদন:  করাচির কাবাব স্ট্রিটে লুকিয়ে কাবাব খেতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। আর তারপর তত্কালীন পাক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মুশারফের ধমক খেতে হয়েছিল ভারত অধিনায়ককে। ভারতীয়দের টিম যে হোটেলে ছিল সেখানে ফোন করে সৌরভকে বকেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। মুশারাফ সৌরভকে বলেছিলেন, ভারতীয় দল তাঁদের অতিথি। তাই ভারতীয় দলের প্রত্যেক সদস্যের নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁরা অত্যন্ত সজাগ। সেক্ষেত্রে দলের সদস্যরা যাতে এমন কোনও কিছু করে না বসে, যাতে তাদের নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে। মূলত নিরাপত্তার কারণেই সেবার সৌরভকে শাসন করেছিলেন মুশারাফ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু বাংলার প্রতিভাবান ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের


২০০৫-০৬ সালের ওই সিরিজে ঘটে যাওয়া এমন আরও অনেক ঘটনাই এখনও আমাদের অজানা। এমনই এক অজানা ঘটনার কথা খোলসা করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মহেন্দ্র সিং ধোনির কেশসজ্জা পারভেজ মুশারফের খুব পছন্দ হয়েছিল। তিনি ধোনিকে চুল না-কাটারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। লাহরোর গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হারে পাকিস্তান। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে ধোনির কেশসজ্জার প্রশংসা করে মাহিকে চুল না-কাটার পরামার্শ দিয়েছিলেন মুশারাফ। এ কথা অনেকেরই জানা। তবে ধোনিকে নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ও ভারতীয় অধিনায়কের যে কথোপকথন হয়েছিল, তা কি আপনার জানা আছে?


আরও পড়ুন- মেরির সাফল্য অনুপ্রেরনা জোগায়, তবে স্বপ্নার আদর্শ স্বপ্না নিজেই


সৌরভ গাঙ্গুলিকে মুশারাফ প্রশ্ন করেছিলেন, ধোনিকে তিনি কোথায় খুঁজে পেয়েছেন? উত্তরে পাক প্রধানমন্ত্রীকে সৌরভ জানিয়েছিলেন, “ধোনি ওয়াঘা সীমান্তে ঘুরে বেরাচ্ছিল, সেখান থেকেই ওকে ধরে এনেছি”। সৌরভের এই রসিকতায় হেসে লুটিপুটি খেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই অতীত অভিজ্ঞতার কথাই সোমবার সর্ব সমক্ষে জানালেন কলকাতার মহারাজ।


আরও পড়ুন- ‘আজ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে’, ফিল হিউজকে শ্রদ্ধার্ঘ স্মিথ, ক্লার্ক, লেম্যানের


উল্লেখ্য, মহেন্দ্র সিং ধোনির আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ২০০৪ সালে। সৌরভের নেতৃত্বেই দলে জায়গা পেয়েছিলেন মাহি। পরে নবাগত ধোনির কাঁধেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সঁপেছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। ২০০৭ সালে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এরপর দীর্ঘ সময় ভারতীয় দলের অবিসংবাদি নেতা হয়ে ওঠেন তিনিই। হাতে আসে সিবি সিরিজ খেতাব। ধোনির নেতৃত্বেই ২৮ বছর পর ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। তাঁর আমলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জেতে মেন ইন ব্লু। ভারতীয় ক্রিকেটে তিনিই একমাত্র অধিনায়ক, যার ক্যাবিনেটে রয়েছে তিন তিনটি আইসিসি ট্রফি। এহেন ক্রিকেটার না-কি এখন ভারতীয় স্কোয়াডেই জায়গা পাচ্ছেন না। এটাই বোধহয় নিয়তি। যেভাবে ফর্মে থাকাকালীনই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সৌরভ, এবার সেটাই হচ্ছে ধোনির সঙ্গে!