Subhash Bhowmick Died: সুভাষ স্মরণে সংগ্রহশালা,মূর্তি তৈরি করছে লাল-হলুদ
কালের নিয়মে লাল-হলুদে গেলেন না চিরঘুমে চলে যাওয়া সুভাষ ভৌমিক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচ হিসেবে বেশি সাফল্য লাল-হলুদেই পেয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলকে দুবার জাতীয় লিগ এনে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর জামানায় এসেছিল এশিয়ান কাপ। আর তাই এহেন ‘ভোম্বল’-কে মনে রাখতে দারুণ উদ্যোগ নিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। সদ্য প্রয়াত কোচের স্মরণে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে থাকছে আশিয়ান কাপ হাতে নিয়ে সুভাষের একটি স্ট্যাচু। এমনটাই জানিয়ে দিলেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার।
লাল-হলুদ ছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের ফুটবলার ও কোচ হিসেবেও কেরিয়ারের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন সুভাষ। তবে সবুজ-মেরুনে ফুটবলার ও কোচ হিসেবে তাঁর স্মৃতি মোটেও সুখের নয়। যদিও এমন বিশেষ দিনে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে একবালপুর নার্সিংহোমে উপস্থিত ছিলেন দুই কর্তা দেবাশিস দত্ত ও সত্যজিত চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার তাঁর প্রয়াণের পর একবালপুরের নার্সিংহোমে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার। পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, সুভাষের কীর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
দেবব্রত বলেন, “আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টের সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের স্মরণসভা আয়োজন করা হবে। প্রাক্তন খেলোয়াড়, ওঁর সতীর্থরা উপস্থিত থাকবেন। পুরোটাই হবে কোভিড বিধি মেনে। এ ছাড়াও সুভাষদার বিভিন্ন কীর্তি নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। আশিয়ান কাপ হাতে নিয়ে ওঁর একটি স্ট্যাচুও থাকবে সেখানে। সেই কাজও শেষ হয়ে এসেছে।“
আরও পড়ুন: Subhash Bhowmick Died: বিদায়বেলায় সুভাষ স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: Subhash Bhowmick Died: কোভিডবিধি মেনেই ময়দানের প্রিয় ‘ভোম্বল’-এর শেষকৃত্য
মোহনবাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত সুভাষের স্মরণে শোকাহত। তিনি বলেন, “ওঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা অতুলনীয় ছিল। বিরাট মাপের মানুষ ছিলেন সুভাষদা। এত দ্রুত চলে যাবেন ভাবিনি। তবে যেখানেই যান, উনি সুভাষ ভৌমিকই থাকবেন। ওঁকে কেউ বদলাতে পারবে না। ওঁর সব থেকে বড় গুণ নিজস্বতা। ’৭০-৮০ এর দশকে অনেক ফুটবলারই ছিল। কিন্তু উনি একটু ভিন্ন ছিলেন।“
২০০৮-১০ মরশুম পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে তাঁর সেই ইনিংস সুখের হয়নি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের ৫-২ গোলে ডার্বি যুদ্ধ হেরে যাওয়ার পর, চাকরি খুইয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। সে বার লাল-হলুদ তাঁবু ছাড়ার সময় রাগের মাথায় একবার বলেও ফেলেছিলেন, ‘আমার মৃতদেহ যেন ইস্টবেঙ্গলে না আসে!’ কালের নিয়মে সেটাই ফলে গেল।
যদিও পরবর্তী সময় লাল-হলুদ শিবির ও সুভাষের মধ্যে দুরত্ব অনেক কমে এসেছিল। তিন মরশুম আগে দলের দায়িত্বও নিয়েছিলেন। এছাড়া ক্লাবের একাধিক ইস্যুতে তিনি এগিয়ে আসতেন। তবে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার জন্য তাঁর মরদেহ কিন্তু প্রিয় লাল-হলুদে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া গেল না।
যদিও দুই প্রধান তাঁকে প্রাপ্য সম্মান জানানো ছাড়াও আয়োজন করবে স্মরণসভার। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই এই স্মরণসভা আয়োজন করতে পারে সবুজ-মেরুন। এছাড়া আইএফএ-এর তরফ থেকেও সুভাষের স্মরণে সভার আয়োজন করা হবে।