উত্কণ্ঠা উধাও...বাড়ি ফিরে প্রিয়জনদের আদরে মিলিয়ে গেল বাগান ফুটবলারের ম্যারাথন যাত্রার ক্লান্তি
বাড়ি ফিরেই প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে ভুলে গেলেন কয়েক হাজার মাইল যাত্রার যাবতীয় ধকল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩০ ঘণ্টা বাসে, ১০ ঘণ্টা বিমানে, দু ঘণ্টা ট্রেনে ... একদিন আমস্টারডামে- এই ছিল ম্যারাথন যাত্রাপথ। লকডাউনের মাঝেই রবিবার সকালে কলকাতা থেকে বেরিয়ে অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় স্পেনের করডোবায় নিজের বাড়িতে বাড়ি ফেরেন মোহনবাগানের ফ্রান মোরান্তে।
বাড়ি ফিরেই প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে ভুলে গেলেন কয়েক হাজার মাইল যাত্রার যাবতীয় ধকল। আসলে একরাশ উত্কণ্ঠা নিয়ে পরিবারের মানুষজনও পথ চেয়ে বসেছিলেন। বাড়ি ফিরেই পোষ্যর আদর আর বান্ধবীর অলিঙ্গনে সব উদ্বেগ উধাও এক নিমেষে।
ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে মোরান্তে লিখেছেন, "৩০ ঘণ্টা বাসে, ১০ ঘণ্টা বিমানে, দু ঘণ্টা ট্রেনে ... একদিন আমস্টারডামে দীর্ঘ যাত্রার পর বাড়ি ফিরলাম। পরিবারের এমন আদরে চমকে গেলাম। সকলকে ধন্যবাদ। আমি বাড়ি পৌঁছে গেছি..."
রবিবার সকালে কলকাতা থেকে বেরিয়ে অবশেষে বুধবার বিকেলে বাড়ি ফিরলেন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল এর স্প্যানিশ ব্রিগেড। রবিবার সকালে নিউটাউনের আবাসন থেকে ছেড়েছিল ফুটবলারদের বিশেষ বাস। বিহার, ঝাড়খন্ড, বেনারস, আগ্রা হয়ে ম্যারাথন যাত্রা শেষে সোমবার বিকেলে রাজধানীতে পৌঁছয় কিবু ভিকুনা- মারিও রিভেরাদের বাস। এরপর মঙ্গলবার কাকভোরে স্প্যানিশ দূতাবাসের ব্যবস্থা করা বিশেষ বিমানে নেদারল্যান্ডস উড়ে যান তাঁরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা বিমান যাত্রার পর আমস্টারডাম বিমানবন্দরে পৌঁছে যান কোলাডো-বেইটিয়ারা। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় বেলা বারোটা নাগাদ আমস্টারডামে পৌঁছন ভিকুনা- মারিও রিভেরারা। বিমানবন্দরের কাছেই এক হোটেলে মঙ্গলবার বিশ্রাম নেন ফ্রান গঞ্জালেসরা। বুধবার সকালে ভারতীয় সময় সাড়ে বারোটায় আমস্টারডাম থেকে ছাড়ে বেইটিয়াদের মাদ্রিদের ফ্লাইট। স্পেনের রাজধানীতে পৌঁছে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোহনবাগান- ইস্টবেঙ্গল এর স্প্যানিশ ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন - ফাঁকা স্টেডিয়ামে মে মাসের মাঝেই শুরু বুন্দেশলিগা; সরকারি সিলমোহর জার্মান চ্যান্সেলরের