নিজস্ব প্রতিবেদন : হরিহর আত্মা। গলায় গলায় বন্ধুত্ব। এতটুকু শব্দবন্ধে বোধ হয় তাঁদের বন্ধুত্ব বেঁধে ফেলা যায় না। বাল্যবন্ধুর প্রতি আবেগের পরিসর হয়তো আরও অনেক বেশি হয়। একেবারে ছোটবেলার বন্ধু। সেই বন্ধুর চিরতরে চলে যাওয়ার দিন। মন খারাপের থেকেও খারাপ কোনও অনুভূতে এমন দিনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। ছোটবেলার অনেক ছবি, কথাই হয়তো থেকে থেকে মনে পড়ছিল টুটু বসুর। একসঙ্গে খেলা, খাওয়া, খুনসুঁটি, আরও কত কিছু। আবার একসঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মোহনবাগানের দায়িত্ব পালন। একসঙ্গে চলতে চলতে এতগুলো বছর পেরিয়ে আসা! আর সেই বন্ধু চলে গেল দুম করে। এমন দিনে টুটু বসুর ফাঁকা ফাঁকা লাগাটাই স্বাভাবিক। মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব অঞ্জন মিত্রর মৃত্যুর খবর যেন নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে তাঁর বাল্যবন্ধু টুটু বসুকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মিত্র হারা বাগান! ময়দান হারাল দক্ষ প্রশাসক, পরলোকে অঞ্জন



বন্ধুবিরহের দিনে টুটু বোস শোকবার্তায় লিখলেন, ''এটাই জীবনের সব থেকে হৃদয়বিদারক সকাল আমার জন্য! অঞ্জন নেই ভাবাও আমার পক্ষে অকল্পনীয়। আমার কোনও ভাই-বোন নেই। বাবা বলতেন, তাঁর দুই ছেলে। টুটু-অঞ্জন। এই পরিবারেই আমরা বড় হয়েছি। টুটু-অঞ্জন একে অন্যের পরিপূরক। আমাদের কখনও আলাদা করা যায়নি। যাবে না। সেই স্কুল থেকে শুরু। আমাদের বন্ধুত্বের ইনিংস এখনও অটুট। অঞ্জনের শরীরটা হয়তো রইল না। কিন্তু ও থেকে গেল আমার অন্তরের অন্তরস্থলে। তবে ওকে শুধু বন্ধু বলি কেন? অঞ্জন আমার ছোট ভাই। সেই ভাই ক্লাবের সুখ-দুঃখে আমার পাশে আর থাকবে না হয় নাকি! অঞ্জন ছাড়া যেমন টুটু হয় না। টুটু ছাড়া অঞ্জনও হয় না। মোহনবাগান ক্লাবে অঞ্জনের যা সাফল্য, তার পিছনে টুটু রয়েছে। টুটুর সাফল্যের পিছনে ঠিক ততটাই অঞ্জন। যেখানে যাচ্ছিস, ভাল থাকিস। শান্তিতে থাকিস।''