নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৩ সালের পর আবার ২০১৮। সৌরভের পর আবার অ্যাডিলেডে টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলেন বিরাট। ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ক্রিকেটে গত ৭০ বছর ধরে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে। ৭০ বছরে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় কোনও টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতল ভারত। স্বাভাবিকভাবেই খুশিতে ডগমগ করছে গোটা দল। বিরাট কোহলি, রবি শাস্ত্রীর খুশি হওয়ার কারণ তো আরও বেশি। একই ক্রিকেট বর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা হয়ে গেল এই জুটির। এমন আনন্দঘন মুহূর্তে কি না মন খারাপ করে বসে আছেন দলেরই সিনিয়র ক্রিকেটার। দলের পারফরম্যান্সের জন্য নয়, নিজের পারফরম্যান্সের কারণেই মন খারাপ ঈশান্ত শর্মার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘ধোনি ভুল করেছিল’, মাহির অধিনায়কত্ব নিয়ে বিস্ফোরক গম্ভীর


যশপ্রীত বুমরাহরে একটা নো বলেই সেবার ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। ফকর জামানের শতরান ট্রফি থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল বিরাটদের। এবার অ্যাডিলেডেও খাদের কিনারে পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেখান থেকে ৩১ রানে জয় ছিনিয়ে আনলেও ভারতীয় শিবিরকে চিন্তায় রাখছে বোলিং ডিপার্টমেন্ট। বিশেষ করে ঈশান্তকে।


আরও পড়ুন- বিমানে মানবিক বিরাট, পেসারদের জন্য আরামের সিট ছাড়লেন অনুষ্কাও


এক নয়, একাধিক নো বল করে ভারতের জয়ের সময়কে আরও তরান্বিত করেছেন ঈশান্ত। প্রথমে অ্যারন ফিঞ্চ, পরে শন মার্শ এবং সব শেষে নাথান লিয়ঁ। এই তিন শিকারি হতে  পারত ঈশান্তের। তবে সেটা হয়নি তাঁর ভুলেই। একের পর এক নো বলে করেই উইকেট হাতছাড়া যেমন করেছেন তেমনই দলকে বিপদের দিকেও ঠেলে দিয়েছিলেন তিনি। ঠিক সময়ে মার্শের উইকেট না পড়লে এই ম্যাচের ভবিষ্যত্ অন্য কিছুও হতে পারত। এটা ভেবেই মন খারাপ ঈশান্ত শর্মার। দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও কীভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন তিনি, এই ভেবেই বিরক্ত ঈশান্ত শর্মা।



অ্যাডিলেড টেস্ট জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ঈশান্ত শর্মার মন খারাপের কথা অবলীলায় জানিয়েছেন বিরাট। তিনি জানান, “ঈশান্ত ছাড়া আমরা সবাই আনন্দ করছি। ও নিজের ওপরই ক্ষুব্ধ, বিরক্ত।” তবে বিরাট কোহলি আশাবাদী, পার্থ টেস্টে এই ভুল আর করবেন না ঈশান্ত। বরং যে দায়িত্বের সঙ্গে তিনি ক্রিকেট খেলছেন, তাতে মুগ্ধ বিরাট কোহলি।