নিজস্ব প্রতিবেদন: এজবাস্টন টেস্টের আগে এক অজি সংবাদমাধ্যম বিরাটের সমালোচনা করে লিখেছিল, ‘ভারত অধিনায়ক হলেন ঠিক ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো। বিফল হলেই সমস্ত দায় চাপিয়ে দেয় সংবাদমাধ্যমের ওপর’। এমনকী অতীতের ইংল্যান্ড সফরে বিরাটের রানের খরা নিয়ে তীব্র শ্লেষ করে লেখা হয়, ‘বিরাটের পছন্দের স্ট্রোক স্লিপে ক্যাচ দেওয়া’!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিরাটকে চাপে ফেলতে ইংল্যান্ড কোচের নতুন স্ট্র্যাটেজি!


এরপর, ভারত বনাম ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্টেই ২০০ (প্রথম ইনিংসে ১৪৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১) রান করে ক্যাঙ্গারুদের বিদ্রুপের যোগ্য জবাব দিয়েছেন বিরাট কোহলি। বুঝিয়ে দিয়েছিল তিনি দমে যাওয়ার পাত্র নন। যার ফলে বিরাটের ব্যাটিংয়ে লাল দাগ দেওয়ার আগে একশোবার ভাবতে হচ্ছে অজি সংবাদমাধ্যমকে। এমন পরিস্থিতি দেশের সংবাদমাধ্যমের মুখে একেবারে চুনকালি মাখিয়ে দিলেন তাদেরই দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৯৯৯-এর বিশ্বকাপ জয়ী অজি অধিনায়ক  স্টিভ ওয়া বলে বসলেন, “বিরাট পৃথিবীর যেকোনও জায়গায় ক্রিকেট খেলতে পারবে। ওর কাছে ক্রিকেটের সেরা টেকনিক রয়েছে”। এখানেই শেষ নয়, বিরাট কোহলিকে সচিন আর লারার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে দিলেন স্টিভ ওয়া। শুধু তাই নয়, ভারত অধিনায়ক যে সচিন-লারার মতোই বড় ম্যাচের প্লেয়ার, সেকথাও অবলীলায় বলে দিলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। 


  


সম্প্রতি এক অজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে স্টিভ ওয়া বলেন, “বিরাট বড় ম্যাচের প্লেয়ার। (ব্রায়ান) লারা, তেন্ডুলকর, (ভিভ) রিচার্ডস, জাভেদ মিঁঞাদাদ এবং আরও মহান ব্যাটসম্যানদের মতোই বড় ম্যাচে রান করতে পছন্দ করে বিরাট। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিরাট নিজের ভিতর থেকে সেরা ক্রিকেটটা বের করে নিয়ে আসে”।


বিরাট ‘লর্ডসের লর্ড’ হলেই পাল্টে যাবে স্লোগান


একই সঙ্গে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে বিরাটের তুলনায় বিরাটকেই এগিয়ে রাখলেন ওয়া। তাঁর কথায়, স্টিভ স্মিথের রানের জন্য খিদে রয়েছে কিন্তু বিরাটই বিশ্বের ‘প্রিমিয়ার ব্যাটসম্যান’।


কপিলের সঙ্গে হার্দিকের তুলনা পছন্দ নয় গাভাসকরের


অতীতে স্মিথ যখন ভারতে খেলেছে, ৫০০-র ওপর রান  করেছে। সেই সিরিজে ভারত জিতলেও বিরাট সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি। তাই ভারতের এবারের অস্ট্রেলিয়া সফর যে কোহলির কাছে বিরাট পরীক্ষা হবে সেকথাও জানিয়েছেন ৫৩ বছর বয়সী এই অজি কিংবদন্তী। স্টিভ ওয়ার মতে অস্ট্রেলিয়া একমাত্র ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেই বিরাটের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে। তাঁর উপদেশ, প্রথম ইনিংসে বড় রান কর, আর বোলিংয়ে জোর দাও। এখন দেখার অ্যাসেজ (২০০১) জয়ী প্রতিদ্বন্দীর এই উপদেশ আদৌ কাজে লাগাতে পারে কিনা জো রুটের ব্রিটিশ ব্রিগেড।