নিজস্ব প্রতিবেদন- বেঙ্গালুরু বরাবরই হাই-প্রোফাইল দল নিয়ে আইপিএলে নেমেছে। দলে একের পর এক তারকা। তাও কেন প্রতি বছর ভরাডুবি হয়! ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলে, এক দল এতজন তারকা থাকলে কাজের কাজটা হয় না। দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার ব্যালান্সটাই আসল। কথাটা যে একশো শতাংশ ঠিক, তা বেঙ্গালুরু দলটাকে দেখলেই বোঝা যায়। একের পর এক তারকা থাকা সত্ত্বেও এখনও একবার আইপিএল খেতাব ঘরে তুলতে পারেনি তারা। বিরাট কোহলি এবার তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। তিনি দাবি করছেন, এবার তাঁর দল ব্যালান্সড। আর এবারই তাঁদের কাছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেরা সুযোগ। আইপিএলের শুরু থেকে বিরাট কোহলি বেঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে মাঠে নামছেন। অসংখ্য স্মৃতি। তার মধ্যে থেকে স্মরণীয় একটা ম্যাচ বেছে দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। ব্যাপারটা বেশ কঠিন ছিল বিরাটের কাছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  অতিথিদের স্বাগত জানাতে নেচে ফ্লোর মাতাল আফগান দল


২০১৩ সাল থেকে বেঙ্গলুরু দলের অধিনায়ক তিনি। তার পর থেকে বহুযুদ্ধের সাক্ষী তিনি। তবে বিরাট এমন একটা ম্যাচ বাছলেন যেটা তিনি ক্যাপ্টেন হিসাবে খেলেননি। বরং খেলেছিলেন ব্যাটসম্যান হিসাবে। সেই ম্যাচে ৪৯ রান করেছিলেন আজকের ক্যাপ্টেন। লড়াকু ইনিংস বলতে ঠিক যা বোঝায়, বিরাটের সেই ইনিংস ছিল সেরকমই। বিরাট বললেন, ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ তে একটি ম্যাচ ছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। ম্যাচটা আমরা হেরে যাই। কিন্তু ওটাই আমার আরসিবি জার্সিতে স্মরণীয় ম্যাচ। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছিলাম। দলের সবাই ম্যাচটা জেতার আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমি লড়াই করছিলাম। ওই ইনিংসটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। ওরকম একটা ইনিংস খেলার পর সবাই আমার প্রশংসা করছিল। 



এখনও সেই ম্যাচের স্মৃতি টাটকা রয়েছে বিরাটের মনে। তিনি বলছিলেন, ''মুম্বই দল সচিন পাজি, ভাজ্জি, জাহির খানের মতো তারকারা ছিলেন। শেষ ওভারটা করছিল জাহির খান। আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছিলাম। সেদিন সবাই বুঝেছিল, আমি লড়াই করতে পারি। আমার ব্যাটিং সেদিন অনেকের নজর কেড়েছিল। সেটা আমার কাছে বড় ব্যাপার ছিল।'' প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের আইপিএল। প্রথম ম্যাচেই ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলবে বিরাটের বেঙ্গালুরু। প্রথম ম্যাচ থেকেই তাই ক্যাপ্টেন বিরাটের লড়াই শুরু হবে।