জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৮ অগস্ট ২০০৮। আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রথমবার পা রেখেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ক্যালেন্ডার বলছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের এক ১৮ অগস্ট, যদিও সালটা ২০২২। কোহলির দেশের জার্সিতে অভিষেকের পর পার হয়ে গিয়েছে ১৪ বছর। খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোহলির জীবনের রেড লেটার ডে অগস্টের আঠারো। বিশেষ দিনে আবেগি কোহলি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার ও দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। কোহলি লিখলেন, '১৪ বছর আগে শুরু হয়েছিল। ভারতের হয়ে খেলা সম্মানের।' ২০০৮ সালে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল কোহলির। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন সেদিন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে করেছিলেন মাত্র ১২ রান। নুয়ান কুলাসেকারার বলে আউট হয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কা ওই ম্যাচ জিতেছিল ৮ উইকেটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোহলির অভিষেক স্মরণীয় হয়নি ঠিকই। কিন্তু সময়ের সঙ্গেই তিনি নিজেই হয়ে ওঠেন ক্রিকেটের ব্র্যান্ড। ৩৩ বছরের কোহলি দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছেন। ১০২টি টেস্ট ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে আছে ৮০৭৪ রান (সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৫৪)। করেছেন ২৭টি সেঞ্চুরি। দেশের জার্সিতে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ হাজার ৩৪৪ রান (সর্বোচ্চ ১৮৩)। রয়েছে ৪৩টি শতরান। কুড়ি ওভারের সংস্করণে ৩৪৪ ম্যাচে করেছেন ১০ হাজার ৬২৬ রান।



আরও পড়ুন: Virat Kohli, Asia Cup 2022: এশিয়া কাপে নামার আগে চাপে রয়েছেন, মেনে নিলেন কোহলি


যদিও বিগত তিন বছর কোহলি মাঠে বিচরণ করছেন শুধু নিজের ছায়া হয়ে। কোনও ফর্ম্যাটেই করতে পারেননি সেঞ্চুরি। কোহলি গত ১৭ জুলাই ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। দেশের জার্সিতে এরপর আর মাঠে নামেননি।ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে  সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিরাটকে বিশ্রাম দিয়েছিল বোর্ড। মনে করা হয়েছিল যে, ছন্দে ফেরার জন্য এশিয়া কাপের আগে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে বিরাট খেলতে পারেন। কিন্তু বিরাট জানিয়েই দিয়েছিলেন যে, একেবারে এশিয়া কাপেই ফের দেশের জার্সি গায়ে চাপাবেন তিনি। আগামী ২৭ অগস্ট থেকে শুরু এশিয়া সেরা হওয়ার লড়াই। কোহলি তার আগে এক সাক্ষাৎকারে ফর্ম নয়, কথা বলেছেন মন নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, 'একজন অ্যাথলিটের এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল রাস্তা হল খোলা মনে খেলে যাওয়া। তবে একইসঙ্গে চাপ বাড়তে থাকলে ক্রীড়াবিদের মানসিক চাপ বাড়তে বাধ্য। আধুনিক যুগে এটা খুবই সিরিয়াস ইস্যু। কারণ কোনও ক্রীড়াবিদ মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তার পক্ষে সেরা পারফরম্যান্স করা খুবই কঠিন হয়ে যায়।' দেখা যাক এশিয়া কাপে কোহলি কী ফুল ফোটান।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)