ICC ODI World Cup 2011: `প্রত্যাখ্যান করেছিলাম`! কেন কোহলিই কাঁধে নিয়েছিলেন সচিনকে? মুখ খুললেন বীরু
Virender Sehwag On Virat Kohli Lifting Sachin Tendulkar On Shoulders After ICC ODI World Cup 2011: বিশ্বকাপ জেতার পর সচিন তেন্ডুলকর ওয়াংখেড়ে ঘুরেছিলেন বিরাট কোহলির কাঁধে চেপে। কিন্তু ধোনি বা শেহওয়াগ সচিনকে তুলে নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেননি। কিন্তু কেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৯৮৩-র পর ২০১১। কপিল দেবের (Kapil Dev) ভারত প্রথমবার কাপ তুলেছিল হাতে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ফের ভারত বিশ্বকাপ জেতে। সৌজন্যে এমএস ধোনি (MS Dhoni)। বিশ্বকাপ জেতার পর সচিন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar) কাঁধে চাপিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ঘুরিয়ে ছিলেন তরুণ তুর্কী বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কোহলি পরে বলেছিলেন, 'মানুষটা ২৩ বছর দেশের বোঝা বয়েছে, এখন সময়, তাকে আমরা কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যাব।' কিংবদন্তি সচিনের প্রতি ব্যাটিং মায়েস্ত্রো বিরাটের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা বরাবরই অন্য পর্যায়ের। সচিনকেই নিজের আদর্শ ভাবেন বিরাট। তবে সচিনের ওপেনিং পার্টনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sehwag) এবার জানালেন যে, কেন তিনি বা অধিনায়ক ধোনি সেদিন সচিনকে কাঁধে চাপাননি, সেই দায়িত্ব কোহলিকেই কেন সঁপে দেওয়া হয়েছিল। বীরুর উত্তর শুনলে হাসি থামবে না।
গত মঙ্গলবারা মুম্বইয়ে বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শেহওয়াগ। তিনি বিশ্বকাপ ফাইনালে সচিনকে কাঁধে না তোলার প্রসঙ্গে হাসতে হাসতে বলেন, দেখুন আমরা সচিনকে কাঁধে তুলতে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম, সচিন এতটাই ভারী ছিল যে, আমরা কেউ ওকে তুলতে পারিনি। আমাদের বয়স হয়েছিল। আমাদের কাঁধের চোট ছিল, এমএস ধোনির হাঁটুর সমস্যা ছিল। প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু সমস্যা ছিল। আমরা সচিনের বোঝা তরুণদের দিয়েছিলাম। বলেছিলাম যাও সচিনকে কাঁধে তুলে, মাঠে একটা রাউন্ড দাও। এই জন্যই বিরাট কোহলি সচিনকে কাঁধে তুলেছিল।'
২০১১ বিশ্বকাপে শেহওয়াগ দারুণ ফর্মে ছিলেন। করেছিলেন ৩৮০ রান। হাঁকান সেঞ্চুরিও। তবে ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে, বীরু আউট হয়েছিলেন কোনও রান না করেই। লাসিথ মালিঙ্গার বলে তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে যান। সচিনও সেদিন জ্বলে উঠতে পারেননি। ১৪ বলে মাত্র ১৮ রান করে আউট হন সচিন। তিনিও শিকার হল মালিঙ্গার। সাত ওভারের মধ্যে ভারত ৩১ রান তুলতে গিয়ে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছিল। চারে নেমে বিরাট কোহলি ৪৯ বলে ৩৫ রান করেছিলেন। সেদিন দুই ক্রিকেটার ইতিহাস লিখে দিয়েছিলেন ব্যাট হাতে। গৌতম গম্ভীরের ব্যাট থেকে এসেছিল ১২২ বলে ৯৭। ৭৯ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন ধোনি। ছয় মেরে তিনি দেশকে জিতিয়ে ছিলেন বিশ্বকাপ।