নিজস্ব প্রতিবেদন : কনুইয়ের চোট গুরুতর আকার নিয়েছে। তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগ থেকে তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা। শেষ দুই ম্যাচে তিনি চাইলে নির্লিপ্ত থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তেমনটা করলেন না। আসলে অস্ট্রেলিয়ান মানেই চরম পেশাদার। সেই কথাটাই যেন আরও একবার প্রমাণ দিয়ে গেলেন ডেবিড ওয়ার্নার। প্রচণ্ড ব্যথা সত্ত্বেও খেলে গেলেন অবলীলায়। বারবার পেইনকিলার নিলেন। ব্য়থা কমল না তাতেও। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল, হাত ফুলে ঢোল হয়ে রয়েছে। তবুও তিনি খেললেন। এবং বেশ সজোরেই খেললেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  টিকিটের দাম ১৬ হাজার টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩ লক্ষ টাকায়


ব্যাথানাশক স্প্রে নিয়ে খেলছেন গত ম্যাচেও। হাতের ফোলাটা কিছুতেই কমছে না। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ওয়ার্নারের হাতের অবস্থা উদ্বেগজনক। তাই দেশে ফিরে যেতে হবে তাঁকে। বিপিএলে আগের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিরুদ্ধে  ৩৬ বলে ৬১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। বাঁহাতি হয়ে আচমকা ডানহাতে ব্যাটিং করে চমক দিয়েছিলেন। তাঁর দল ম্যাচটা জিতেছিল। সঙ্গে গেইলকে ডান হাতে ছক্কা মারা ওয়ার্নারকে নিয়ে বিস্তর আলোচনাও হয়েছিল। সিলেট সিক্সার্সের হয়ে তিনি যে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছেন, সেটা তাঁর হাতের ফোলা অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়। হাতের ওরকম খারাপ অবস্থা। তাই নিয়েই চলতি বিপিএলে ৬ ম্যাচচে তিনটি অর্ধশতরান করে ফেলেছেন ওয়ার্নার।


আরও পড়ুন-  বিশ্বকাপের আগে ফিরলেন ফিনিশার ধোনি, অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের


''কনুইয়ে জয়েন্টে জল জমেছে। তাই ব্যথা কমছে না। ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হচ্ছে। হাতের ফোলাটা কমছে না।  ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চিকিত্সার জন্য দেশে ফিরতে বলেছে। অস্ত্রোপচার করাতে হবে কিনা সেটা অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার পরই বলতে পারব।'' বলছিলেন ওয়ার্নার। কয়েক মাস আগের কথা। সারা বিশ্ব তখন ওয়ার্নারের মুণ্ডপাত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বল-বিকৃতি কাণ্ডে তাঁকেই মূল পাণ্ডা বলে ধরা হয়েছিল। তাঁর সতীর্থদের অনেকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওয়ার্নারের নির্দেশেই তাঁরা বল-বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন। তার পর গড়িয়েছে অনেক জল। ওয়ার্নার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রোষের মুখে পড়েছেন। গোটা ক্রিকেট বিশ্বের সমালোচনা হজম করেছেন। শাস্তির হিসেবে জুটেছে নির্বাসন। কিন্তু ওয়ার্নার দমে যাননি। ফিরে আসার লড়াই লড়ছেন। আর সেই লড়াইয়ে সততার যে কোনও অভাব নেই, তাও বোঝাচ্ছেন।