Santosh Trophy: ১৯ ঘণ্টা বাসে দল, ম্যাচের ঠিক আগেই অসুস্থ ফুটবলার! তবুও জিতল বাংলা
পঞ্জাবকে হারিয়েই সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) অভিযান শুরু করল বাংলা।
শুভপম সাহা: জয় দিয়েই সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) অভিযান শুরু করল বাংলা। শনিবার ৭৫ তম জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (75th National Football Championship) প্রথম ম্যাচেই বাংলা ১-০ গোলে হারাল শক্তিশালী পঞ্জাবকে। ৬১ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন শুভম ভৌমিক।
এদিন ম্যাচেই শুধু লড়াই করে জয় পায়নি মনোতোষ চাকলাদাররা, মালাপ্পুরমের কোট্টাপ্পড়ি স্টেডিয়ামে নামার আগেও বাংলা দলকে যেতে হয়েছে যাবতীয় প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে। ম্যাচের পর বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে শোনালেন কলকাতা থেকে কেরলে আসার আগে ঠিক কী কী হার্ডল পার করতে হয়েছে তাঁর টিমকে।
দলের জয়ে খুশি রঞ্জন। পুরো কৃতিত্বই তিনি ফুটবলারদের দিয়েছেন। বাংলার কোচ ফোনে বলছেন, "ম্যাচ জেতার পর লড়াই কিছুটা হলেও কমল। তবে লড়াই চলবে। আর এই লড়াই শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকেই। আমরা কলকাতা থেকে বিমানে বেঙ্গালুরু এসেছি। সেখান থেকে ১৯ ঘণ্টা বাস জার্নি করে মালাপ্পুরম। কোচির সরাসরি কোনও বিমান পাইনি আমরা। রিজার্ভ বাসে আসি। তারওপর রাস্তায় ভয়ঙ্কর জ্যাম। এসি বাস ছিল বলে এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছি। বাসে সবাইকে ৬-৭ লিটার করে জল দিয়েছি। ওআরএস দিয়েছি। নাহলে কারোর পক্ষে আর ম্যাচে নামা সম্ভব হত না। সবার শরীর শুকিয়ে যেত। এর মধ্যে আবার মহিতোষ ও আরও দু'জন ফুটবলারের লাগেজ থেকে গেল কলকাতা বিমানবন্দরে। সেই লাগেজ আনালাম এখানে।"
রঞ্জনের ক্ষোভ প্র্যাকটিস ভেন্যুর বল ও মাঠ নিয়েও। তাঁর বক্তব্য়, "যে বলে প্র্যাকটিস করেছি, খেললাম ঠিক তার উল্টো বলে। প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডও ২৪ কিলোমিটার দূরে। মাঠ অত্যন্ত ছোট। এরকম মাঠে আমরা খেলি না। মাঠ পঞ্জাবের ফেভারে। ওরা যেরকম স্টাইলে খেলে, ওদের জন্য ঠিক আছে।" বাংলা এদিন সকাল সাড়ে নটায় পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলেছে। তখন মালাপ্পুরমের তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রির ওপরেই। এই প্রচণ্ড গরমে খেলার প্রসঙ্গে রঞ্জন বলছেন, "এরকম গরমে খেলার কথা ভাবাই যায় না। এই নিয়ে আমি আর কী বলব। প্লেয়ারদের যদি সম্মান দেওয়া না হয়, তাহলে কিছু বলার থাকে না। সব ম্যাচ রাতের দিকে করতেই হবে। আজ টিম বাস থেকে নামার পর মহিতোষ বমি করতে শুরু করে দিল। এই ভয়ঙ্কর হিউমিডিটিতে শরীর ছেড়ে দিচ্ছে। তাও আমি ওআরএস-ট্যাবলেট খাইয়ে মাঠে রেখেছিলাম ওকে। ৬০-৭০ মিনিট খেলালাম। কী করব খেলাতেই হতো। টিম তো চলে গিয়েছে মাঠে। এসব নিয়ে আমি এখন ভাবি না। তাহলে খেলার ওপর ফোকাস নষ্ট হয়ে যাবে। সবাইকে বলি সব ঠিক আছে। আজকের জয়ের পুরো কৃতিত্ব দেব ফুটবলারদের। ওরা যাবতীয় প্রতিকূলতাকে অনুকূলে এনেছে। আমরা কী করেছি? জল-ওআরএস দিয়ে ওদের শুধু ঠিক রেখেছি। তবে বাংলা আরও ভাল খেলবে।"
পরের ম্যাচ চারটে এবং আটটার দিকে আছে। আর সকালে ম্য়াচ নেই। সন্তোষ ট্রফিতে সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন বাংলা (৩২)। যদিও ট্রফি এসেছে বছর পাঁচেক আগে। গ্রুপ এ-তে রয়েছে বাংলা। এই গ্রুপে বাংলার সঙ্গে রয়েছে কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থান ও মেঘালয়। বাংলা পরের ম্যাচে খেলবে কেরলের সঙ্গে। সেই ম্যাচ রাত আটটায়। তারপর রাজস্থান ও মেঘালয়ের সঙ্গে খেলা রয়েছে। সেই ম্যাচগুলি বিকেল চারটে থেকে। ফলে বাংলার কোচকে আর গরম ফ্যাক্টর ভাবাবে না।
আরও পড়ুন: Mohun Bagan: Juan Ferando, Pritam-দের উপস্থিতিতে বার পুজো, পুরনো মেজাজে মোহনবাগান