East Bengal: পছন্দের বিনিয়োগকারী এনে স্বমহিমায় ফিরবে ইস্টবেঙ্গল, নববর্ষের সকালে বার্তা দিলেন দেবব্রত সরকার
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে কথা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের। শোনা গিয়েছিল, লাল-হলুদের সঙ্গে যুক্ত হতে ওই সংস্থাও আগ্রহ দেখায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা (Covid 19) আতঙ্ক কাটিয়ে দুই বছর পর আবার ময়দানে ফিরল ঐতিহ্যের বার পুজো (Bar Pujo)। বিগত বছরগুলোর হতাশা কাটিয়ে নববর্ষের সকালে লাল-হলুদ তাঁবুতে ফের সাজোসাজো রব। রীতি মেনে বাংলা বছরের প্রথম দিনে বার পুজো হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে (East Bengal)। সকাল ৭.৫০ মিনিটে পুজো শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাল-হলুদের কার্যকরী কমিটির সদস্য দেবব্রত সরকার, সহ সচিব রূপক সাহা-সহ ক্লাব কর্তারা। প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, মিহির বসু, তরুণ দে, শঙ্কর লাল চক্রবর্তী, অলোক মুখোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন-সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার ছিলেন। বার পুজোর পর মিলিত ভাবে ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করেন প্রাক্তন খেলোয়াড় ও ক্লাব কর্তারা।
শ্রী সিমেন্ট ইতিমধ্যেই ক্লাবকে 'স্পোর্টিং রাইটস' ফিরিয়ে দিয়েছে। এ বার নতুন বিনিয়োগকারী এনে আইএসএল খেলার পালা। সঙ্গে আবার লাল-হলুদের মাথায় ট্রান্সফার ব্যানের খারা ঝুলছে। যদিও লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার মনে করেন সব সমস্যার সমাধান দ্রুত হয়ে যাবে। তিনি আশ্বাস দিলেও যে এত বড় কর্মকান্ড সঠিক ভাবে সম্পন্ন করার জন্য ফের একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকে তাকিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে কথা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের। শোনা গিয়েছিল, লাল-হলুদের সঙ্গে যুক্ত হতে ওই সংস্থাও আগ্রহ দেখায়। সেই চুক্তি নিয়ে দেবব্রত আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, "ওদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওরা আপাতত বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলছে। সেখান থেকে কোনও সবুজ সঙ্কেত পেলেই আমরা ব্যাপারটা নিয়ে এগোতে পারব। কিন্তু ওদের নির্দেশিকা না এলে ব্যাপারটা নিয়ে আর বসতে পারব না। তবে এলে ওরা বিনিয়োগকারী হিসেবেই আসবে।"
নতুন বছরের সকালেও সেই কথা আবার জানালেন লাল-হলুদ কর্তা। তিনি বলেন, "ইনভেস্টর এমন আসুক যারা ফুটবলের পাশাপাশি আমাদের দাবিদাওয়াও বুঝবে ৷ দুই পক্ষ মিলেই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবকে ফের এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাব।"
তবে নতুন বিনিয়োগকারীর হাত ধরে নতুন ভাবে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিলেও, লাল-হলুদের মাথায় ট্রান্সফার ব্যানের খারা ঝুলছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। কিন্তু এগারো জন ফুটবলারের বকেয়া অর্থ মেটাবে কে? সেই বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকার কাছাকাছি। যদিও লাল-হলুদ কর্তাদের আশা এই বকেয়া টাকা নাকি শ্রী সিমেন্ট মিটিয়ে দেবে!
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল থেকে পাকাপাকি ভাবে সরে গেল শ্রী সিমেন্টে, নয়া ইনভেস্টর কে?
আরও পড়ুন: East Bengal-এর লক্ষ্য আইএসএল খেলা, দুই সপ্তাহের মধ্যে লগ্নিকারী নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ক্লাব