Brij Bhushan Sharan Singh VS Wrestlers Protest: `অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁসিতে ঝুলে যাব!`, বড় মন্তব্য করে দিলেন বিতর্কিত ব্রিজভূষণ
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই আসরে নেমেছে বিশ্ব কুস্তির নিয়ামক সংস্থা ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং। বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যেভাবে কুস্তিগীরদের মারধর করে আটক করা হয়েছে, তাদের ধরনাস্থল থেকে উচ্ছেদ করেছে আধিকারিকরা, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কয়েকদিনের মধ্যেই কুস্তিগীরদের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারির দাবিতে ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের প্রথমসারির কুস্তিগীররা। সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat), বজরং পুনিয়ার (Bajrang Punia) মতো দেশের প্রথমসারির কুস্তিগীরদের আন্দোলন (Wrestlers Protest) বড় আকার ধারণ করেছে। এমন প্রেক্ষাপটেই এবার কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং (Brij Bhushan Sharan Singh)। তাঁর বিরুদ্ধে একটাও অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি ফাঁসি বরণ করে নেবেন বলে জানালেন বিজেপি (BJP) সাংসদ। আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "যদি আপনাদের কাছে কোনও প্রমাণ থাকে, তাহলে আদালতে জমা দিন। তাতে আমি যে কোনও শাস্তি গ্রহণ করতে রাজি আছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁসিতে ঝুলে যাব!"
কুস্তিগীরদের ক্রমাগত আন্দোলনের মধ্যেই দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) দাবি ছিল, ব্রিজভূষণ বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যদিও একটা সময় শোনা যায়, দিল্লি পুলিসের দাবি ছিল, 'পকসো' আইনে (POCSO ACT) অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার প্রশ্নই নেই। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শুধু দিল্লি পুলিস নয়, ব্রিজভূষণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এক নাবালিকা কুস্তিগীরের পরিবার। জানা গিয়েছে, সেই নাবালিকা কুস্তিগীরের কাকার নাম অমিত পালোয়ান। কুস্তি ফেডারেশন সচিবের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের তদন্ত করতে অমিতের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিস। সেই সময়েই গোটা ঘটনা জানতে পেরেছেন । যদিও নাবালিকা কুস্তিগীর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে অমিতের সম্পর্ক ভালো নয় বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু তাঁর মতে, ব্রিজভূষণকে ফাঁসাতেই তাঁর পরিবারকে ব্যবহার করছেন কুস্তিগীররা।
অমিতের মতে যে কুস্তিগীরকে নাবালিকা বলে দাবি করেছেন সাক্ষীরা, আসলে তাঁর বয়স কুড়ি বছর। তাঁকে হেনস্তার অভিযোগ কখনই পকসো আইনের আওতায় আসতে পারে না। সেই জন্যই অমিতের ভাইজির বয়স ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়েছেন কুস্তিগীররা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "সেই মেয়েটি আমার ভাইজি, ২০০৪ সালে ওর জন্ম। ২০ বছর বয়সি নির্যাতিতার ক্ষেত্রে কখনই পকসো আইন ব্যবহার করা যায় না।"
সেই সঙ্গে অমিতের দাবি, তাঁর ভাইজিকে যৌন হেনস্তা করেননি ব্রিজভূষণ। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, "আমিই আমার ভাইজিকে কুস্তি খেলায় উৎসাহ দিতাম। যখনই ওর সঙ্গে দেখা হয়েছে আমি জিজ্ঞাসা করেছি এরকম কিছু ঘটেছে কিনা। কিন্তু যৌন হেনস্তার মতো ঘটনা ঘটেনি বলেই আমার ভাইজির মত। আমাদের পরিবারকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছেন নেতা ও শীর্ষস্থানীয় কুস্তিগীররা।"
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন কুস্তিগিররা। পকসো আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনই বিস্ফোরক এই দাবি করলেন এক নির্যাতিতা নাবালিকা কুস্তিগীরের কাকা। তাঁর কথায়, সাক্ষী মালিক ও ভিনেশ ফোগাটরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে ব্রিজভূষণকে ফাঁসাতে চাইছেন। এদিকে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ নিজেও দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে। এখন এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।