নিজস্ব প্রতিবেদন: ঋদ্ধিমান সাহা বনাম সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার (Wriddhiman Saha vs Journalist) ইস্যুর তদন্ত ইতিমধ্যেই শেষ করে ফেলেছে বিসিসিআই-এর (BCCI) তিন সদস্যের কমিটি। এবার সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল। শোনা যাচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ এপ্রিল রায় জানাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বোর্ড। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ঋদ্ধি (Wriddhiman Saha) টুইটারে এই সাংবাদিকের হুমকি তুলে ধরেছিলেন। এই সাংবাদিক ঋদ্ধিকে রীতিমতো অসম্মানিত করে কিছু মেসেজ করেন। সেই রাতে টুইটারে একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন ঋদ্ধি। সেই স্ক্রিনশটে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছিল এই সাংবাদিক ঋদ্ধিকে কার্যত ‘হুমকি’ দিয়েছেন। ঋদ্ধি এই পোস্টের সঙ্গেই লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার যাবতীয় অবদানের পর তথাকথিত ‘শ্রদ্ধেয়’ সাংবাদিকের থেকে এমন বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পর্যায় নেমে গিয়েছে সাংবাদিকতা।' 



বঙ্গ উইকেটকিপারের সেই টুইট ভাইরাল হতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sewhag) থেকে শুরু করে রবি শাস্ত্রী (Ravi Shashtri)। ঋদ্ধি ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ ছিল সেই জনৈক সাংবাদিক তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন!বোর্ডের কাছে সেই সাংবাদিকের নাম জানালেও, তিনি সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি। পরবর্তীতে সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার নিজে এগিয়ে এসে দাবি করেছিলেন যে ঋদ্ধিমান তাঁর চ্যাটের স্ক্রিনশট 'এডিট' সবার সামনে নিয়ে এসেছেন। 


বোরিয়া একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে ঋদ্ধির বিরুদ্ধে জরালো অভিযোগ এনেছিলেন। পোস্ট করা স্ক্রিনশটের পাশাপাশি নিজের স্ক্রিনশটও সামনে এনেছিলেন তিনি। সেই দু'টি স্ক্রিনশট পাশাপাশি রেখে তাঁর অভিযোগ ছিল, "ঋদ্ধি ইচ্ছাকৃত ভাবে বার্তা পাঠানোর তারিখ মুছে দিয়েছেন ও একটি মিসড কল মাঝখানে জুড়ে দিয়েছেন। উনি বোঝাতে চেয়েছেন যে এটা একই দিনের বার্তা। প্রথমত মিসড কলের সময় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা আর তার আগে পাঠানো বার্তার সময় রাত ১০টা ১৯ মিনিট। দ্বিতীয়ত হোয়াটসঅ্যাপে আলাদা দিনে বার্তা পাঠালে তবেই মাঝে তারিখ আসে। আমার স্ক্রিনশট দেখলেই বোঝা যাবে ঋদ্ধি কী ভাবে মানুষকে ভুল বোঝানোর পাশাপাশি সহানুভুতি আদায় করার চেষ্টা করেছেন।"  



এরপর তিনি ঋদ্ধির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তুলে তাঁর দাবি ছিল, পাপালি নাকি সাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেননি। ঋদ্ধি ও তাঁর পরিবার শুরু থেকেই এই সাংবাদিকের কাছ থেকে 'হুমকি' পাওয়ার কথা বলে আসছিলেন। যদিও বোরিয়ার দাবি ছিল, "ঋদ্ধি বলেছেন আমি ওঁকে হুমকি দিয়েছি, কিন্তু আমি সেটা করিনি। যদি ঋদ্ধি সেই দিন এতটাই রেগে গিয়ে থাকতেন, তাহলে ১৩ ফেব্রুয়ারিই এই স্ক্রিনশট সামনে আনতে পারতেন। ওই দিন ঋদ্ধির আনন্দের দিন ছিল। প্রায় ২ কোটি টাকার দর উঠেছিল তাঁর। এই স্ক্রিনশট ১৩, ১৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি সামনে আনা যেত। কিন্তু তিনি ১৯ তারিখ অবধি অপেক্ষা করেন। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। বার্তা বিকৃত করেন। তার পর সেগুলি সামনে আনেন রাত ১০টা ১২ মিনিটে। মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এমনটা করেছেন তিনি। ১৩ ফেব্রুয়ারির পর আমি কোনও ভাবে ঋদ্ধির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিনি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আছে, যেটা আমি এখানে বলছি না। কিন্তু বোর্ডের কমিটির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলে তাদের কাছে আমি জানাবো। আমার আবেদন রইল, বিসিসিআই-এর কমিটির কাছে যাতে আমাকেও কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।" 


ইতিমধ্যেই দুই পক্ষই তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ পেয়েছেন। এই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে ছিলেন সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা, কোষাধক্ষ্য অরুণ ধুমল (Arun Dhumal) এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য প্রভতেজ ভাটিয়া। গত মাসেই ঋদ্ধিমান এবং বোরিয়া দু'জনেই এই কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন।


এখন বোর্ড ঋদ্ধির পাশে থেকে সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। 


আরও পড়ুন: Controversy, IPL 2022: সতীর্থ Mohammed Shami-কে গালাগালি দিয়ে ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন Hardik Pandya, ভিডিও ভাইরাল


আরও পড়ুন: Yuzvendra Chahal, IPL 2022: 'সারারাত হাত বেঁধে রেখেছিল!' এবার Andrew Symonds, James Franklin-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চাহাল!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)