Wridhhiman Saha: টিম ম্যানেজমেন্ট মুখ ফিরিয়ে নিলেও `সুপারম্যান`-এর পাশে একাধিক প্রাক্তন
বয়সের অজুহাতে বাদ ঋদ্ধি!
সব্যসাচী বাগচী: তিনি কি তাহলে নিজের অজান্তেই গত বছর ডিসেম্বরে শেষ টেস্ট খেলে ফেলেছিলেন? যে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের গৌরভগাথা লেখা আছে, সেই মাঠের বাইশ গজেই কি তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সমাপ্তি ঘটেছিল? ভারতীয় ক্রিকেটে কান পাতলে তো এমন খবরই ভেসে আসছে। 'বয়স বড় বালাই'। সেই তত্বকে সামনে রেখে নাকি ঋদ্ধিমান সাহা-র সঙ্গে 'গোল্ডেন হ্যান্ডশেক' করেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট! 'সুপারম্যান' ও তাঁর পরিবার এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে একেবারে স্পিকটি-নট। তবে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও ভবিষ্যতে টেস্ট দলের অধিনায়ক তাঁকে নিয়ে যাই ভেবে থাকুন, দেশের একাধিক প্রাক্তন উইকেটকিপার কিন্তু বঙ্গ সন্তানের পাশেই আছেন।
সৈয়দ কিরমানি: আগেও বলেছি আবার বলছি টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটকিপিং একটা স্পেশ্যাল জায়গা। সেখানে একজন প্রকৃত কিপার দরকার। তাই আমার ভোট বরাবরের মতো ঋদ্ধির দিকেই রয়েছে। তবে শুনলাম ওকে বয়সের অজুহাত দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট ছেঁটে ফেলতে চাইছে। সেটাই যদি হয়ে থাকে তাহলে এটা খুবই খারাপ বিজ্ঞাপন। বয়স ৩৭ হলেও ঋদ্ধি কিন্তু এই দলের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার। আমার মতে বিরাট কোহলির পর ভারতীয় দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার ঋদ্ধি। সঙ্গে ও দল নিবেদিত প্রাণ একজন যোদ্ধা। কিন্তু প্রাপ্য সম্মান পেল না। যোগ্য মানুষ সম্মান পায়নি, ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। আরও একবার সেটা ঘটল।
আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: অচিরেই থমকে গেল ঋদ্ধিমান সাহার আন্তর্জাতিক কেরিয়ার! কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: IPL Auction, IPL 2022: মেগা নিলামের আগে কোন দলের হাতে কত টাকা? ছবিতে জেনে নিন
সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়: ও ফর্ম নিয়ে কথা বলার সুযোগ টিম ম্যানেজমেন্টের নেই। কারণ গত বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট ছাড়া ঋদ্ধি তো ম্যাচ খেলার সুযোগই পায়নি। রইল বাকি বয়স! ঋদ্ধির ক্ষেত্রে বয়স প্রযোজ্য হতে পারে না। যে বা যারা ওর বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তাদের ভাবনাচিন্তা মোটেও ক্রিকেটীয় নয়। আমার মতে অন্য কোনও কারণ আছে। আমি ঋষভ পন্থ ও কোনা ভারতের বিরুদ্ধে নই। আমার স্পষ্ট কথা হল কাউকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য ঋদ্ধিকে ফালতু অজুহাত দিয়ে ছুড়ে ফেলা উচিত নয়। ওকে অসম্মানের বিদায় জানানোর আগে একবার কানপুর টেস্টে ওর ঘাড়ে চোট নিয়ে ব্যাটিং মনে রাখা উচিত ছিল।
কিরণ মোরে: যদি শুধু কিপিং-এর কথা বলেন তাহলে ঋদ্ধি অনেকের থেকে এগিয়ে থাকবে। শুধু ভারত নয়, ঋদ্ধি ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা কিপার। তবে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে ঋষভ পন্থ অনেক এগিয়ে আছে। সেটা সব ফরম্যাটে পন্থের ব্যাটিং দেখলেই বোঝা যায়। তাই এখন পন্থকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু 'ব্যাক আপ' হিসেবে ঋদ্ধিকে দলে রাখা যেতেই পারত। কিন্তু আবার মনে রাখতে হবে যে ভারত চলতি বছর শ্রীলঙ্কার পর টেস্ট সিরিজ খেলবে না। তাই হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট নতুন মুখ দেখতে চাইছে।
নয়ন মোঙ্গিয়া: ঋষভের বিকল্প হিসেবে কোনা ভারত মন্দ বিকল্প নয়। দুজনের বয়স কম। তাই মাথা ঠিক রাখলে অনেক বছর দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারবে। কিন্তু নতুনকে স্বাগত জানাতে গিয়ে সিনিয়রকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। কিন্তু সেটা নিয়ে আর চর্চা করে লাভ নেই। কারণ ভারতীয় ক্রিকেটে সিনিয়রদের ছাঁটাই পর্ব মোটেও নতুন ঘটনা নয়। ঋদ্ধির নামটা সেই তালিকায় জুড়ে গেল। এটা ভেবে খারাপ লাগছে।