নিজস্ব প্রতিবেদন: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫৯, নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৭; কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬২। সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি, একই সঙ্গে ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করেছেন তিনি। অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের সেনসেশনের নাম যে যশস্বী জসওয়াল সন্দেহ নেই। গলি থেকে রাজপথের কাহিনি লেপ্টে রয়েছে তাঁর ক্রিকেটিয় উত্থানের সঙ্গে। মুম্বইয়ের অলিগলিতে ফুচকা বিক্রেতা যশস্বীর শতরানেই বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ মেন ইন ব্লু। ছাত্রের (যশস্বী জসওয়াল) মনসংযোগে যাতে কোনও রকম ব্যাঘাত না ঘটে তাই মঙ্গলবার পতচেফস্ট্রফের গ্যালারিতে লুকিয়ে লুকিয়ে সেঞ্চুরি দেখলেন কোচ জ্বালা সিং।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যশস্বীর কোচ জ্বালা সিং বলছিলেন, দেশ ছাড়ার আগে ও কথা দিয়েছিল। আমিও ওকে বলেছিলাম বিশ্বকাপ শেষে সবচেয়ে বেশি রান তোমার ঝুলিতে থাকতে হবে। যদি সেটা ও করতে পারে তাহলে আমি একটা গাড়ি উপহার দেব। মঙ্গলবার জ্বালা সিং চোখের সামনে দেখতে পেলেন যে তাঁর ছাত্র প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে প্রায় এগিয়ে গিয়েছে।   বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ১১৩ বলে ঝকঝকে ১০৫ রানের ইনিংস। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই।




মঙ্গলবার গ্যালারিতে বসে যশস্বীর ইনিংস দেখেছেন জ্বালা সিং। কিন্তু তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি শিষ্য। কারণ ছাত্র গুরুকে অনুরোধ করেছিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকায় যেন তিনি টুর্নামেন্ট চলাকালীন না আসেন। কিন্তু নিজেকে আর দেশে আটকে রাখতে পারেননি যশস্বীর কোচ। তাই উড়ে যান জোহানেসবার্গ। সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গে পতচেফস্ট্রফে খেলা ঠিক হওয়ার পরেই চলে যান সেখানে। সারাদিন যশস্বীর থেকে মুখ লুকিয়ে গা ঢাকা দিয়েই থাকলেন জ্বালা সিং। যাতে কোনওভাবে ছাত্রের মনসংযোগে কোনওরকম চ্যুতি না ঘটে।


জ্বালা সিং শুধু যশস্বীর কোচই নয়। বরং তার চেয়ে বড় কিছু। ২০১৩ সালে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছেলের দায়িত্ব জ্বালা সিংয়ের হাতেই তুলে দেন যশস্বীর বাবা। সেই থেকেই নিজের সন্তানের মতোই যশস্বীকে লালন পালন করেছেন জ্বালা সিং।  এই  ছেলেটাই যে কয়েক বছর আগে মুম্বইয়ের রাস্তায় ফুচকা বিক্রি করত! সেদিনের ফুচকাবিক্রেতা যশস্বীই আজ আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।


আরও পড়ুন - ICC U-19 World Cup 2020: পাকবধ ভারতের; ১০ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মেন ইন ব্লু