অর্কদীপ্ত মুখার্জী- গত মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফর। ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। শুক্রবার কলকাতায় ফিরেছেন বাংলার ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম টেস্টের পর সুযোগ না পেলেও এই সিরিজের প্রতিটি মুহুর্তের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। ঘরে ফেরার পর জি ২৪ ঘন্টাকে ফোনে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন ঋদ্ধিমান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংক্ষেপিত:


প্রশ্ন – ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়ের পর কি বলতে চাও?


ঋদ্ধিমান – যে কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারলে ভালো লাগে। কিন্তু বিশেষত সেটা যদি অস্ট্রেলিয়া হয় এবং অ্যাওয়ে সিরিজ তাহলে অবশ্যই আনন্দ বেশী হয়। আগের সিরিজও অস্ট্রেলিয়াতে আমরা জিতেছি। আগের সিরিজে আমি থাকতে পারিনি কিন্তু এই সিরিজে ছিলাম সেটা অবশ্যই একটা ভালো অনুভূতি।


প্রশ্ন – ব্রিসবেনে শেষদিনে কখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে ভারত ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করবে? 


ঋদ্ধিমান – কোনো কিছুই শুরু থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি ভালো শুরু হয় সেক্ষেত্রে মোমেন্টামটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের ঠিক কি প্ল্যানিং ছিল সেটা জানি না কিন্তু আমরা যারা বাইরে ছিলাম তারা কেউই ভাবিনি যে আমরা ড্রয়ের জন্য খেলব। 


প্রশ্ন – অনেকেই বলছেন পন্থের উত্থানে ঋদ্ধির কেরিয়ার কিছুটা প্রশ্নের মুখে। সিনিয়র উইকেটকিপার হিসেবে কিভাবে দেখছ পন্থের এই উত্থানকে?


ঋদ্ধিমান – পন্থ অত্যন্ত ট্যালেন্টেড। যত খেলবে তত উন্নতি করতে থাকবে এবং দলের জন্য সেটা অত্যন্ত প্রয়োজন। দলের সবাই চায় টিম জিতুক। দলের জন্য একটা বড় প্লাস পয়েন্ট যে পন্থ যত এটা চালিয়ে যেতে পারবে দলের জন্য তত ভালো। 


প্রশ্ন – প্রথম একাদশের এতজন খেলোয়াড় দলে না থাকাটা কিভাবে সামলালে? দল হিসেবে কি করে তুলে ধরলে নিজেদের? 


ঋদ্ধিমান – প্রথম ম্যাচে হারার পরেও প্রস্তুতিতে কোনো পরিবর্তন আমরা আনিনি। প্রথম টেস্টের আগেও প্রস্তুতি আমাদের ভালোই ছিল। অ্যাডিলেডে আমাদের একটা খারাপ দিন ছিল আর ওদের একটা ভালো দিন গেছে। বিশেষ কোনো আলোচনা আমরা করিনি। এই কারণে আমাদের যা কাজ আমরা সেটাই করে গেছি। পরের টেস্টগুলিতে তার ফল পেয়েছি। দলের নতুন ছেলেরা যারা সুযোগ পেয়েছে তারা ভালো খেলছে। এটাও দলের জন্য একটা বড় প্লাস পয়েন্ট।


প্রশ্ন – অধিনায়ক রাহানেকে নিয়ে কি বলবে? বিরাট কোহলির থেকে কতটা আলাদা তিনি?


ঋদ্ধিমান – বিরাট একজন আবেগপ্রবণ অধিনায়ক কিন্তু রাহানে তা নয়। কিন্তু দুজনেই খুবই পজিটিভ এবং দুজনেই যে কোনো খেলোয়াড়কে ভীষণ ভালো করে উদ্দীপ্ত করতে পারে। দুজনের কেউই খেলার ধরণ পাল্টাতে বলে না, বরং নিজের স্বাভাবিক খেলাই খেলতে বলে। দুজনেই সবসময় সাপোর্ট করে।


প্রশ্ন – সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ। নিজের জন্য কোনো বিশেষ লক্ষ্য?


ঋদ্ধিমান – লক্ষ্য একটাই, যদি সুযোগ আসে অবশ্যই দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। ব্যাটিং হোক বা কিপিং দুই বিভাগেই ভালো পারফর্ম করতে চাই। দল জিতুক, শুধু এটাই চাওয়া।