নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে আটক হলেন সুজন চক্রবর্তী, সপ্তর্ষি দেব। সারা বাংলা জুড়ে প্রায় ১৫০ জন বাম নেতা, সমর্থককে এদিন আটক করেছে পুলিস। পুলিসের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শতরূপ ঘোষও। তিনি কসবায় আক্রান্ত হন বলে দাবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকালে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মীরা। সেইসময় সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে আটক করে পুলিস। সেইসময় পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বাম কর্মী, সমর্থকদের। আটক করে তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ লালবাজারে আটক হয়ে থাকেন সুজন চক্রবর্তী।


অন্যদিকে, নিউটাউন সংকল্প মোড়ের কাছে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। গৌতম দেবের ছেলে সপ্তর্ষি দেবের নেতৃত্বে চলছিল অবরোধ, বিক্ষোভ। পুলিস বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে গেলে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। তখন গৌতম দেবের ছেলে সপ্তর্ষি দেব সহ ৭ জনকে আটক করে নিউটাউন থানার পুলিস।


আরও পড়ুন, বিক্ষোভ-সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মালদহের সুজাপুর; শূন্য গুলি, পুলিসের ২ গাড়িতে আগুন জনতার


প্রসঙ্গত, CAA-NRC ইস্যুতে বামেদের ডাকা ভারত বনধের জেরে এদিন সকাল থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে জনজীবন। রাজ্যের জায়গায় বনধ ঘিরে হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। মালদায় গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। গুলি চলার ঘটনাও ঘটেছে মালদায়। জেলায় জেলায় রেল অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। বিপর্যস্ত হয় ট্রেন চলাচল। যার জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।


বামেদের ডাকা বনধের এদিন তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "একটা বাসে বোম মেরে সস্তায় পাবলিসিটি। এভাবে রাজনীতির মৃত্যু হয়। প্রতিটা বনধ ব্যর্থ হচ্ছে। তাও বছরে ৪টে করে বনধ ডেকে দেওয়া হচ্ছে। এই করতে করতে পার্টিটা সাইনবোর্ডে এসে ঠেকেছে।" বাংলার সিপিআইএম-এর কেরল সিপিআইএম অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।