নিজস্ব প্রতিবেদন: অবিনাশ! সার্থক নাম বটে ছেলেটির। বাঘের মুখে পড়েও তিন ঘুসির জোরে প্রাণে বাঁচলেন যুবক! আর বাঘ বাবাজি ততক্ষণে আঠেরোর সুঠাম কব্জির তিন ঘায়ে একেবারে ঘায়েল! এমন অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন যিনি, তিনি মেটেলি ব্লকের বছর আঠেরোর যুবক অবিনাশ মহালি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবিনাশ মহালির বাড়ি মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা বাগানের ৪নং লাইনে। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও বাগানের ২২ নম্বর সেকশনে ঘাস কাটতে যান অবিনাশ। দিব্যি চলছিল ঘাস কাটার কাজ। কিন্তু হঠাত্ বিপত্তি! 'তিনি' যে ওখানে কে তা জানত! তবে, "পায়ে পড়ি বাঘ মামা, কোরো নাকো রাগ মামা" বলার পাত্র নন নির্ভীক অবিনাশ। অতর্কিতে চিতা বাঘটি যখন ডান কাঁধ ও বাম হাতে থাবা বসিয়েছে, ততক্ষণে সাহসে ভর করে বজ্র মুষ্ঠিতে প্রস্তুত যুবক অবিনাশ। পরপর তিন ঘুসি...বাঘ মামা কুপোকাত। শিকারের কাছে পরাজয় স্বীকার করে আহত চিতা তখন জঙ্গলের পথ ধরেছে। কিন্তু বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ বলে কথা। খানিক আহত হয়েছেন অবিনাশ মহালি।


স্থানীয় জনতা আহত অবিনাশকে প্রথমে নিয়ে যায় চা বাগানের উপরে। এরপর মঙ্গলবাড়ী ব্লক গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই যুবক। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন হাসপাতালে যান খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। বনদপ্তর তরফে জানানো হয়, যুবকের চিকিৎসা খরচ বহন করবে সরকার।


আরও পড়ুন- মাত্র ৫০ টাকায় ১৫ মিনিটের জন্য আপনি বাঘের ডেরায়