নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন হতে হয়েছে ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত প্রধান রিতু সিংহের স্বামী দিলীপ রামকে। সুপারি কিলার দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকার মহিলা প্রোমোটার শকুন্তলা যাদবের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে শকুন্তলার ছেলে মঙ্গল যাদব ও ২ সুপারি কিলার মহম্মদ নাসিম ও বৈজনাথ রায়কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানান, এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অর্জুন সিংহ ও সঞ্জয় মিশ্রকে। তাদের সঙ্গে এই ২ সুপারি কিলারের কোনও লিংক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই খুনের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন সুপারি কিলার। অন্যতম অভিযুক্ত বিজু পাসোয়ানও এখনও ফেরার। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে আজ দুটো ওয়ান শর্টার ও একটি ৭এমএম পিস্তল, কয়েক রাউন্ড কার্তুজ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


তদন্তে জানা গিয়েছে, শকুন্তলা ও ছেলে মঙ্গল মিলে দিলীপ রামকে খুনের পরিকল্পনা করে।  আগেও একাধিক সুপারি কিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তখন রফা হয়নি। দিলীপ রামকে খুন করতে সাহস পায়নি কেউ। শেষে টিটাগড়ের বাসিন্দা মহম্মদ নাসিমকে সুপারি দেওয়া হয়। ৩ লাখ টাকার সুপারি দেওয়া হয়, তারমধ্যে দেড় লাখ অগ্রিম। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন বাড়ি থেকে বেরনোর পরই নজর রাখছিল বৈজনাথ। সে-ই ফোনে নাসিমকে দিলীপ রামের গতিবিধি ও অবস্থান জানায়।


আরও পড়ুন, পাওনা নিয়ে বচসার জেরে সপাটে কানে চড় মহাজনের, মৃত্যু ব্যবসায়ীর  


নাসিম ব্যান্ডেল রেলস্টেশন লাগোয়া রাস্তায় অপেক্ষা করছিল।  দিলীপ রাম স্টেশনের কাছে আসতেই, অন্যান্য সহযাত্রীদের সঙ্গে তাঁর পিছু নেয় সে। এরপর পিছন দিক থেকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দিলীপ রামকে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে দিলীপ রাম।


চুঁচুঁড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রিতু সিংহ জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে দিলীপকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শকুন্তলা ও বিজু পাসোয়ানের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।