পাওনা নিয়ে বচসার জেরে সপাটে কানে চড় মহাজনের, মৃত্যু ব্যবসায়ীর
মাথা গরম করে লোকজনকে মারধর করা তাঁর নিত্যদিনের ঘটনা। যাঁরা তাঁর হয়ে রেডিমেড পোশাক তৈরির কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন লাল্টু।
নিজস্ব প্রতিবেদন : টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদ সপাটে চড় কষায় মহাজন। আর তাতেই মৃত্যু হল ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম সমীর সাধুখাঁ। অভিযুক্ত মহাজন লাল্টু পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছে চিৎপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত সমীর সাঁধুখার বাড়ি নদিয়ার চাকদার মদনপুর কলতলা পাড়া এলাকায়। সমীর সাধুখাঁর মহিলাদের পোশাকের কাটিং সেলাইয়ের ব্যবসা ছিল। দমদমের সিমলাই লেন এলাকার বাসিন্দা মহাজন লাল্টু পোদ্দারের থেকে মহিলাদের সায়া, ব্লাউজ, নাইটি কাটিং নিয়ে আসতেন। তারপর স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে সেগুলোকে সেলাই করিয়ে আবার মহাজনের কাছে ফেরত দিয়ে আসতেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি।
নিহতের পরিবারের দাবি, গতকাল শুক্রবারও সমীর সাধুখাঁ স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর মাল নিয়ে মহাজনের কাছে যায়। এরপর রাত ৮ টা নাগাদ তাঁরা ফোন মারফত খবর পান যে সমীর অসুস্থ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের লোক। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান সমীরের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন, চায়নাটাউনে স্ত্রী-বাবাকে খুনে ধৃত ছেলেই, জোড়া হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে লুকিয়ে পরকীয়া
পরিবারের অভিযোগ, পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদের সময় সপাটে কানে চড় কষান মহাজন। তাতেই মৃত্যু হয় সাধুখাঁর। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে পোশাক ব্যবসায়ী লাল্টু পোদ্দারের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নিহতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে লাল্টু পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসার পাশপাশি এলাকায় ইমারতি দ্রব্যের সিন্ডিকেটের একছত্র সম্রাট সঞ্জীব ওরফে লাল্টু পোদ্দার। দমদমের সিমলাই লেনে তাঁর আলিসান বাড়ি রয়েছে। অভিযোগ, মাথা গরম করে লোকজনকে মারধর করা তাঁর নিত্যদিনের ঘটনা। যাঁরা তাঁর হয়ে রেডিমেড পোশাক তৈরির কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন লাল্টু। শুক্রবারও চড় মারেন। সজোরে চড়ের আঘাতেই হার্ট ফেল করে মৃত্যু হয় সমীর সাধুখাঁর।