`শরীরে কাঠের দণ্ড ঢুকিয়ে` কলেজ ছাত্রের উপর যৌন নির্যাতন! ধৃত ২ যুবক
ফেসবুকে আলাপ। ধৃত ২ যুবকের মোবাইলে উদ্ধার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়োও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কলেজ ছাত্রের শরীরে কাঠের দণ্ড ঢুকিয়ে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল ২ যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম মাধব মন্ডল ও বসির আলি।
জানা গিয়েছে, হুগলির দেবানন্দপুরের বাসিন্দা মাধব মন্ডল। ইশ্বরবাগের বাসিন্দা বসির আলি। অভিযোগ, মগরাহাটের বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রের উপর যৌন নির্যাতন চালায় এই ২ অভিযুক্ত। ওই ছাত্রের শরীরে কাঠের দণ্ড ঢুকিয়ে তাঁর উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত মাধব মণ্ডল ও বসির আলি। তাঁদের পাল্টা দাবি, নির্যাতিত ছাত্রই ভুয়ো পরিচয়ে তাঁদের সঙ্গে আলাপ জমায়। নিজেকে মেয়ে বলে পরিচয় দিয়ে ব্যান্ডেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে। তারপর জোর করে তাঁদের বাড়িতে আসে। সেখানেই মারামারি বাধে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পেশায় কাঠমিস্ত্রি মাধব মণ্ডল আদতে কাপাসডাঙার বাসিন্দা। বছর তিনেক আগে দেবানন্দপুরে জমি কিনে বাড়ি করেন। বাড়িতে বহিরাগতদের আসা-যাওয়া ছিল। বাড়িতে নিত্য গানবাজনা, মদের আসর বসত। সামগ্রিক ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিস। জেরায় কাঠের দণ্ড তৈরির কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত মাধব মণ্ডল। তবে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মাধব মণ্ডল দাবি করেছেন, কোনওরকম যৌন নির্যাতন চালানো হয়নি। মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, 'বাসে বোম মারা সস্তার পাবলিসিটি, এর থেকে কেরল CPIM ভালো', বনধের নিন্দায় সরব মমতা
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বসির আলির ফেসবুকে ঋক সরকার নামে প্রোফাইল রয়েছে। ফেসবুকেই নির্যাতিত ছাত্রের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। 'জেন্ডার' নামক একটি গ্রুপ থেকে আলাপ হয় উভয়পক্ষের। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে তারপর উদ্ধার হয়েছে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়োও। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।