নিজস্ব প্রতিবেদন : আনলক পর্বে একে একে খুলেছে সব কিছুই। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের মত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে ঘুরে আট থেকে আশিকে আনন্দ দেওয়া মেলা কমিটিগুলির কথা ভাবেননি কেউই। অভিযোগ, না কেন্দ্রীয় সরকার, না রাজ্য সরকার, কেউ-ই একবারও মেলা কমিটিগুলিকে নিয়ে কিচ্ছু বলেনি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ মেলা কমিটিগুলি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চৈত্র, বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য জুড়ে চলে এদের ব্যবসা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে খোলা ময়দানে পসরা সাজিয়ে বসে আট থেকে আশিকে আনন্দ দেয় এরা। কখনও নাগরদোলার মাধ্যমে তো কখনও টয়ট্রেন সহ নানান রকম জয়রাইডের মধ্যে দিয়ে। পাশাপাশি হরেক রকমের সামগ্রী নিয়ে দোকান সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। গ্রীষ্মের দাবদাহের সন্ধ্যায় সাধারণ মানুষও পায় একটু ফুরফুরে বাতাসের স্বাদ।


কিন্তু এবছরের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ যে তিন মাস তাঁরা ব্যবসা করেন, তার মধ্যে ২ মাস লকডাউন কেটে গিয়েছে। আনলক পর্বে অন্যান্য সবকিছু খুললেও এদের কথা কেউ মনে রাখেনি। ফলে অসহায়ের মত কোনরকমে আধপেটা খেয়ে পরিবারকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এই বন্দিদশা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে বুঝতে পারছেন না কেউই।


নিমতা, বেলঘড়িয়ার প্রায় ২০০ ব্যক্তি এই মেলা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কীভাবে, কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় পুরসভা থেকে বিধায়ক, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও কোনও উত্তর আসেনি। আক্ষেপ শোনা যায় তাদের গলায়। এখন তাঁরা স্থির করেছে নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য জেলাশাসকের কাছে যাবেন। তাঁদের ব্যবসার স্বীকৃতি চাইবেন। যাতে সরকারি কোনও সাহায্য মেলে। 


মেলায় দোকান দেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, "চরম সংকটের মধ্যে আছি। কোনওরকমে আধপেটা খেয়ে দিনযাপন করছি। মুখ্যমন্ত্রী সহ সকলকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনও কিছুই হয়নি।" মেলায় নাগরদোলানা চালানো আরেক ব্যক্তি কাতর আবেদন করেন, "সব কিছুই তো খুলছে। তাহলে আমাদেরও মেলা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হোক। আইন মোতাবেক অল্প অল্প করেই মেলা করার অনুমতি দেওয়া হোক। না হলে তো না খেয়ে মারা পড়তে হবে। প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হোক। তাতেও সবাই উপকৃত হবে।"


আরও পড়ুন, ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির জন্য় সুখবর! পুজোর সময় থেকে শুরু হচ্ছে IRCTC ট্যুর, জেনে নিন নয়া নিয়মকানুন