কিরণ মান্না: রোজই শিরোনামে দিঘা। গতকালই জানা গিয়েছিল দিঘা নিয়ে একরাশ আপডেট। যেমন, দিঘায় বেড়াতে এসে বাড়তি ভাড়া ইত্যাদি-সহ যে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন পর্যটকেরা, সেগুলি এবার দূর করা হবে। ওদিকে মন্দারমনি জুড়ে হোটেলগুলি নিয়ে বিস্তর টানাপড়েনের ফলে ডিসেম্বরের ছুটিগুলিতে পর্যটকদের ভিড় দিঘাতেই আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে দিঘা প্রশাসন আগেভাগেই বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে, জানা গিয়েছিল তা-ও। এবার এল নতুন দিঘা-আপডেট! কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Volcanic Eruption: ২০২৫ কি আদৌ ভালো যাবে? এমন ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটবে যে, হারিয়ে যাবে আস্ত একটা ঋতুই!


থার্টিফার্স্ট ডিসেম্বর মানে, পর্যটকদের কাছে কাছেপিঠের ডেস্টিনেশন দিঘার আকর্ষণ তুঙ্গে। আর এবার সেটাই অনেক বেশি। আজ এরই মধ্যে দিঘায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছে। দিঘায় প্রায় সমস্ত হোটেলের বুকিং শেষের দিকে। বর্ষাবিদায় ও বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান দিঘা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন হয়েছে। 


তার আগে দুপুরে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানেও ব্যাপক ভিড় ছিল। প্রশাসনের নজরদারির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে এ বছর। কোমর জল, গলা জলের বেশি গভীরে পর্যটকদের যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্পিডবোট নামানো হয়েছে সমুদ্রে। স্পিডবোটে করে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানের উপর নজরদারি চলছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের নুলিয়াদের। তবুও আজ এক পর্যটক তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। দ্রুত স্পিডবোটে করে নুলিয়ারা তাঁর কাছে পৌঁছে তাঁকে টেনে আনেন। ওয়াচটাওয়ার থেকেও নজরদারি চলছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস। 


ভিন রাজ্য থেকেও অনেক পর্যটকেরা এসেছেন দিঘায়। বর্ষশেষের সুর্যাস্ত ও নিউ ইয়ারের সুর্যোদয় দেখবেন তাঁরা। সঙ্গে নতুন বছরের সমুদ্রস্নান সেরে বাড়ি ফিরবেন। রাতে দিঘা প্রশাসনের তরফে দিঘা সৈকতকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। বহু পর্যটক নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আতশবাজি পোড়াবেন, ফানুস ওড়াবেন, গান-বাজনায় মেতে উঠবেন-- এমনই জানাচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: Baba Vanga's Predictions: বিশ্ব থেকে মুছে যাবে মুসলিম? মানুষ অমর হবে? ভগবানের দেখাও মিলবে? বাবা ভাঙ্গার বিচিত্র ভবিষ্যদ্বাণী...


আগেই জানা গিয়েছিল, এবার দিঘার মুকুটে নতুন পালক সংযোজন হতে চলেছে। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে তৈরি হচ্ছে চৈতন্যদ্বার। দিঘায় প্রবেশদ্বারের মতো করে এই চৈতন্যদ্বার তৈরি হচ্ছে। জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি অর্থাৎ, জগন্নাথদেবের পুরনো মন্দির-লাগোয়া প্রবেশপথের মুখেই এই সুবিশাল চৈতন্যদ্বার তৈরি হবে। চৈতন্যদেবের নামাঙ্কিত এই প্রবেশদ্বার পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের হবে। এর জন্য কদিন আগেই মাপজোক করা হয়েছে। তিন চার দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। জগন্নাথ মন্দির, সেই সঙ্গে চৈতন্যদ্বার-- একসঙ্গে অনেকগুলি বিষয় দিঘার মতো পর্যটনকেন্দ্রে দেখার সুযোগ পেতে চলেছেন পর্যটকরা।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)