Knife Attack: বিয়ের প্রস্তাবে গররাজি, ষোড়শীর গলায় ছুরি চালাল ৪২-এর `বিবাহিত` যুবক
প্রথমে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। তারপরই গলায় ছুরি চালিয়ে (Knife Attack) দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের প্রস্তাবে (Marriage) রাজি না হওয়ায় নাবালিকার গলায় ছুরি চালাল (Knife Attack) এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই আসমা খাতুন নামে বছর ষোলোর ওই কিশোরীকে মেদিনীপুর (Medinipur) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে চিকিত্সাধীন গুরুতর জখম ওই নাবালিকা। গলার পাশাপাশি তাঁর হাতে ও পায়েও চোট রয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Medinipur) জেলার পিংলা (Pingla) থানার ৬ নম্বর ক্ষীরাই অঞ্চলের জোড়াবাঁধ এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মুস্তাফা খাঁন। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে মূল অভিযুক্ত মুস্তাফা খানকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জোড়াবাঁধ এলাকার বাসিন্দা শেখ আনসার আলির মেয়ে আসমা খাতুন বুধবার রাতে বাড়ির কাছেই সার্কাস দেখতে যায়। অভিযোগ, সার্কাস শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথেই তার উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত মুস্তাফা খাঁন। নাবালিকা আসমা খাতুনের পথ আটকে প্রথমে তার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। তারপরই গলায় ছুরি চালিয়ে (Knife Attack) দেয়। হামলার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কিশোরী।
খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তাঁরাই ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পিংলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ও হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বলিস্বরপুর এলাকার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের মুস্তাফা খাঁন বিবাহিত। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নাবালিকা আসমা খাতুনকে উত্ত্যক্ত করত অভিযুক্ত মুস্তাফা খাঁ। এমনকি ২৬ বছরের ছোট ওই কিশোরীকে বার বার বিয়ের (Marriage) প্রস্তাবও দেয় সে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে কোনওভাবেই রাজি হয়নি ওই নাবালিকা। আর তারপরই আক্রোশের বশে এই হামলা।
বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েই রাগের বশে ওই নাবালিকার গলায় ছুরি চালায় (Knife Attack) অভিযুক্ত মুস্তাফা। হামলার পরই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পিংলা থানার পুলিস। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।