নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে যুবকের আধপোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের তত্ত্বেই সিলমোহর দিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই যুবককে। যুবককে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই প্রেমিকা সায়নী মণ্ডল, বাবা মদনমোহন মণ্ডল, ভাই সায়ন মণ্ডল সহ মা ও দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, নাম না করে মমতা বললেন, ফোন করছেন মুকুল রায়!


ঝোপের আড়ালে দাউদাউ করে আগুনে "কিছু একটা' পুড়তে দেখে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।  সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় ভূপতিনগর থানার পুলিশকে। এরপর পুলিশ এসে জল ছিটিয়ে আগুন নেভায়। তারপরই রঞ্জিত মণ্ডলের আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিস। যুবককে মারধরের পর  পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন, চিটফান্ড মামলায় তদন্ত করতে পারবে একমাত্র সিবিআই, নয়া আর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পারে প্রতিবেশী কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় যুবক। মৃতের পরিবার অভিযোগ করে, শুক্রবার রাতে সায়নী তাঁকে ফোন করে দেখা করতে বলে। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, সবার অগোচরে সায়নীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল রঞ্জিত। সেইসময়ই তাঁদের দু'জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সায়নীর পরিবারের লোকেরা।


আরও পড়ুন, গোটা তৃণমূল কিনে ফেলতে পারি, কিন্তু বেচাকেনার রাজনীতির কান্ডারি তো মমতা


অভিযোগ, তারপরই শুরু হয় গণধোলাই। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে রঞ্জিত। তখন তাঁকে পাশের ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও প্রেমিকার পরিবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তাঁরা পাল্টা দাবি করে, তাঁদের মেয়েকে বিরক্ত করছিল রঞ্জিত। সায়নী তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় ওই যুবক তাঁদের বাড়ির সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হল খুনের ঘটনা।