নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের সাতটি জায়গাকে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করল সরকার। সে সমস্ত জায়গায় বাড়তি নজরদারির কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, এগরাসহ মোট ৭টি জায়গা। মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি ফের করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন। এ দিন তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬৯ জন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে ৬০ জন ৯টি পরিবারের সদস্য। পাশাপাশি ফুলের বাজার এবং কীষাণ মান্ডি কাল থেকে খুলে দেওয়া হবে বলেই মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন নাম না করে ফের বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নেত্রী। স্পষ্ট জানিয়েছেন সরকারের টাকায় নিজের দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা যাবে না। তাঁর কথায়, "অনেক রাজনৈতিক দল মানুষের কাছে ত্রান দিতে গিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন। সরকারি রেশন, সরকারি রেশন দোকান থেকেই পাবেন। যদি সত্যিই কেউ গরিব থাকেন তাহলে তাদের বিষয়টি ডিএম, এসডিও দেখে নেবেন। সাহায্য করতে হলে নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিন। রেশন দোকানে ডিলারদের চাপ দিয়ে চাল-ডাল নিয়ে এসব করবেন না, দেবেন না।" 


এছাড়াও মঙ্গলবার একাধিক ঘোষণা করেছেন মমতা, দেখে নিন এক নজরে


পুলিশ প্রশাসনকে আরও একবার বলছি। অ‍্যাগ্রো মার্কেটিংয়ের যেসব জিনিস আসবে সেগুলোকে যেন ছাড় দেওয়া হয়।  যারা স্থানীয়ভাবে ফুল বিক্রি করেন ফুল বিক্রি করতে পারবেন।


অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ‍্যে যারা ঘরে বসে বিড়ি বাঁধেন তাঁরা ঘরে বসে কাজ করবেন। তবে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে। এক জায়গায় ৭ জনের বেশি লোক থাকতে পারবেন না। অন্যথা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।


পরিযায়ী শ্রমিকদের যেন প্রোটেকশন দেওয়া হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় ক‍্যাবিনেট সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক আমাদের মুখ্য সচিব কথা বলবেন।


আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে ওষুধ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি চেয়েছেন সেটা ওদের বিষয়। ওরা সিদ্ধান্ত নেবেন তবে আমরা আমাদের কাছে এই ওষুধ যথেষ্ট মজুদ করেছি।


উৎসব আসবে উৎসবের মত। তাই সবাইকে অনুরোধ করছি এই রকম পরিস্থিতিতে সবাই ঘরে বসেই উৎসব পালন করুন।