Asansol Stampede: আসানসোলে কম্বলকাণ্ডে বিজেপি কাউন্সিলরকে জেরা পুলিসের, থানায় হাজিরা নেতার
১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের মকৃষ্ণ ডাঙা এলাকায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট ৩ জনের মৃত্যু। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: হাইকোর্টে মামলা চলছে। শুনানিরও আর বেশি দেরি নেই। আসানসোল কম্বলকাণ্ডে এবার পুলিসের জেরার মুখে জিতেন ঘনিষ্ঠ বিজেপি কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী আচার্য। এমনকী, থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল দলের নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কেও।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর। সেদিন আসানসোলের ২৭ ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ ডাঙা এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই অনুষ্ঠানে কম্বল নেওয়ার রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তারপর? এতটাই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ৩ জন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।
কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? কম্বলকাণ্ডে ৬ জন এখন পুলিসি হেফাজতে। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী চৈতালী-সহ আয়োজকদের বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিস। বস্তুত, জেরা করা হয়েছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালী তিওয়ারিকেও।
আরও পড়ুন: Suicide: বিয়ের ২ দিন আগে আত্মহত্যা? রেললাইনের ধারে মিলল যুবকের রক্তাক্ত দেহ....
এদিন আসানসোলে পুরসভা ১০৫ নম্বর বিজেপি কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী আচার্যের বাড়িতে যান পুলিস আধিকারিকরা। কেন? ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে জেরা পর্ব। সূত্রের খবর, তদন্তকারী কাউন্সিলররের কাছে জানতে চান,, ওই অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি কি পূ্র্ব নির্ধারিত ছিল? শুভেন্দু-সহ বিজেপি নেতারা আসার কথা কি জানতেন? সঙ্গে আরও বেশ কিছু তথ্যও।
এদিকে কম্বলকাণ্ডে পুলিসের ভূমিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন সপ্তাহ চৈতালী তিওয়ারিকে গ্রেফতার বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। তবে, তদন্ত সবরকম সহযোগিতা করতে হবে জিতেনপত্নীকে।