নিজস্ব প্রতিবেদন: টাকা কামাইয়ের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছে লোনের ফাঁদ পেতেছিল দম্পতি। বন্ধুর মতো মেশা হাজরা দম্পতিকে বিশ্বাস করে শেষ পর্যন্ত কপাল চাপড়াচ্ছেন সকলেই। ৭০০ জন মহিলার থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ভাঙড় থানার পাশেই ডাকাতির চেষ্টা, বাধা দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু নিরাপত্তারক্ষীর


স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে কার্যত বন্ধুর মতোই মেলামেশা করত বোলপুরের অভিযুক্ত হাজরা দম্পতি। বন্ধুত্বের ছদ্মবেশেই ফেলতেন টোপ। এভাবেই দিনের পর দিন চলছিল প্রতারণা। জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন শিখা হাজরা ও সুভাষ  হাজরা। এই করেই ৭০০ জন মহিলার জন্য দু-কোটি টাকারও বেশি লোন অনুমোদন করিয়েছেন বলে আশ্বাস দেন দম্পতি। কিন্তু ঋণের টাকা কারোর হাতেই পৌছয়নি। ঋণের বদলে সিকিওরিটি মানি হিসেবে বেশ মোটা অঙ্কের টাকাও নেয় তারা।


আরও পড়ুন: কেমো চলছে মায়ের, অগত্যা শূন্যপুরী বউবাজারেই বিপদ মাথায় দিন গুজরান মা-ছেলের


এরপর টাকা চোট করে প্রায় তিনমাস ধরে বেপাত্তা হাজরা দম্পতি। অভিযোগ, পুলিস,প্রাশসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও ফল মেলেনি। সোমবার অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। বাড়িতে ঢুকে চলে ভাঙচুর। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তিনমাস ধরে কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছে ওই দম্পতি? তদন্ত কতদূর? সদুত্তর মেলেনি পুলিসের তরফেও। ঋণের টাকা হাতে আসেনি। উল্টে প্রতারণার শিকার হয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা শোধ দিতে হচ্ছে। মাসখানেক আগে এই ঘটনায় এক প্রতারিত আত্মঘাতী হন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অন্যান্য প্রতারিতরা।