কেমো চলছে মায়ের, অগত্যা শূন্যপুরী বউবাজারেই বিপদ মাথায় দিন গুজরান মা-ছেলের
কেন এই বিপদ বাস? কারণ, মেট্রো কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়েছেন শুক্রবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খাঁ খাঁ করছে গোটা চৈতন সেন লেন। দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু করবে মেট্রো। কাজের জন্য ফাঁকা করা হয়েছে সব বাড়ি। তাঁদের বর্তমান অবস্থান শহরের বিভিন্ন হোটেল। কিন্তু একটি বাড়িতেই জ্বলছে আলো। কেন এই বিপদ বাস? কারণ, মেট্রো কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়েছেন শুক্রবার।
বাড়ির ছেলে জানালেন তার ঠিক ২৪ ঘন্টা আগেই প্রথম কেমো দেওয়া হয়েছে চৈনত সেন লেনের বাসিন্দা আল্পনা ভট্টোচার্যকে। যার জন্য কোনও ভাবেই তাকে অন্য জায়গা নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ধুলো-বালি থেকে বাঁচিয়ে রাখা বাঞ্চনীয় এই সময়। বাড়ির মতো পরিস্থিতি হোটেলে পাওয়া যাবে না। তাই বিপদ নিয়েই থাকতে হচ্ছে পুরনো এলাকাতেই। ছেলে সায়ন বলেন, "কাকারা সবাই চলে গিয়েছে। মাকে নিয়ে আমি আছি। আগে আমার মা, তারপর সব।"
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যায় চেষ্টা, তারপর...
ইষ্ট-ওয়েস্ট মেট্রো দ্বিতীয় মেশিন কাজ শুরু করেছে। সাধারণ গতির প্রায় অর্দ্ধেক গতিতে কাজ করছে। কাজের জন্য সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে বৌবাজার চত্বরের বেশ কিছু বাড়ি খালি করা হয়েছে। বাড়ির বাসিন্দা দের এমব্যাসি, গ্রীন ইন এইসব হোটেলে রাখা হয়েছে। গতকাল প্রায় ৬০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চৈতন্য সেন লেন। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু। বিপদ এড়াতে বহু বাড়ির বাসিন্দা পুরনো বাড়ির বাসিন্দাদের হোটেলে রাখা হয়েছে।