নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রোমোটিংয়ের জন্য বাড়ি না দেওয়ায় এক যুবতীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল হাওড়া ময়দান এলাকায়। অভিযোগের তির স্থানীয় যুবক বিকাশ দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাওড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৌ সাধুখাঁ  নামে ওই আক্রান্ত যুবতী। তবে নিগৃহীতা তরুণীর অভিযোগ, পুলিস এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি। তাই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদেরকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, হাওড়া ময়দানের কাছে পঞ্চানন তলা রোডে নিজের মাসির বাড়িতে থাকেন মৌ সাধুখাঁ নামে ওই যুবতী। তিনি জানান, ২০১৭-র ডিসেম্বর মাসে তাঁর দিদিমা আঙুরবালা সাধুখাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে ওই বাড়িতে থাকেন আঙুরবালার এক মেয়ে সুমতি সাধুখাঁ। যেহেতু মাসির বয়স অনেকটা বেশি, তাই তাঁকে দেখভালের জন্য বালটিকুরির বাড়ি ছেড়ে পঞ্চানন তলা রোডের ওই বাড়িতে থাকতে শুরু করেন তিনি। সম্পর্কে তিনি সুমতি সাধুখাঁর দিদির মেয়ে। 


এখন গত কয়েক মাস ধরেই স্থানীয় যুবক বিকাশ দাস ওই বাড়ি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ মৌ সাধুখাঁর। বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে তাঁদেরকে মোটা টাকার প্রস্তাবও দেওয়া দেয়। কিন্তু তাঁরা তাতে রাজি না হওয়ায়, তারপর থেকেই অভিযুক্ত ওই যুবতীর মাসি ও তাঁকে খুনের হুমকি দিতে শুরু করে। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিকাশ দাসের বাড়ির মহিলারা তাঁকে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে মারধর করেন  বলে অভিযোগ। 


যদিও নিজেকে হাওড়া পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করা বিকাশ দাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। দাবি করেন, মৌ সাধুখাঁর সম্পত্তির ব্যাপারে তিনি আগ্রহী নন। এমনকি হুমকি এবং মারধরের কথাও অস্বীকার করেছেন বিকাশ দাস। পাল্টা মৌ সাধুখাঁর বিরুদ্ধেই হাওড়া থানায় তিনি তাঁর পরিবারের মহিলাদের উপর হামলা অভিযোগ করেছেন। 


অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওড়া থানা। এদিকে নিজেকে ওয়ার্ডের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করলেও, হাওড়া সদরের তৃণমূল চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, "বিকাশ দাস ওই ওয়ার্ডের প্রেসিন্ডেন্ট নয়। এমনকি ওই নামে কেউ তৃণমূল দলের সঙ্গেই কেউ যুক্ত নয়।"


আরও পড়ুন, 'দম্পতি' পরিচয়ে ভাড়া নেয় ঘর, হাওড়ার হোটেলে উদ্ধার যুগলের অচৈতন্য দেহ!