নিজস্ব প্রতিবেদন: ঈদের আগেই ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্তম্ভিত পরিবারের লোকজন। ফোনে পরিবারের সঙ্গে শেষ বারের মত কথায় আসন্ন ঈদের দুদিন আগে বাড়ি ফেরার কথা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ওড়গ্ৰামের হাফেজ পাড়ার বাসিন্দা। শেখ সাদ্দাম পেশায় লরি চালক। রুজি-রুটির তাগিদে গাড়ি চালানোর উদ্দেশ্যে গত সোমবার দিন বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন। সোমবার রাতে বর্ধমানে লরিতে চাল বোঝাই করে কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে লরির খালাসী ছিলেন একই গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাহুল।


বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ রাহুল ফোন করে সাদ্দামের পরিবারের লোকজনদের জানান অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এলাকায় ত্রিপতি পাহাড় সংলগ্ন জায়গায় লরিটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই দুর্ঘটনাতেই সাদ্দামের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় রাহুল। 


রাহুলের পা দুটি ভেঙে গেছে বলেও জানা গেছে। পরিবারের অভিযোগ, কিছুক্ষণ পর রাহুল পুনরায় ফোন করে জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির ছোঁড়া পাথরের আঘাতে লরির কাঁচ ফুটো হয়ে তা সাদ্দামের বুকে লাগে। এর ফলেই সাদ্দামের মৃত্যু হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দুবার ফোনে দু রকম কথা শোনায় রাহুল। 


আরও পড়ুন: Durgapur: সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে নোংরা কথা বাবার বন্ধুর, বিয়েরও প্রস্তাব 'কাকুর'!


সাদ্দামের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাদের ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাদের আরও দাবি সাদ্দামের সঠিক মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা হোক। অন্ধপ্রদেশ থেকে শুক্রবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর ওড়গ্রামে আনার উদ্দেশ্যে পরিবারের লোকজন অন্ধপ্রদেশের পৌঁছেছে।


ভাতারের ওড়গ্রামের হাফেজ পাড়ার বাসিন্দা শেখ মোস্তফার তিন ছেলে। বড় ছেলে সেখ সাদ্দাম। বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় তার। তাদের একটি দেড় বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)