Durgapur: সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে নোংরা কথা বাবার বন্ধুর, বিয়েরও প্রস্তাব 'কাকুর'!
'কাকু'র এই মানসিক নির্যাতনে মাঝে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল ওই নাবালিকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে কুরুচিকর প্রস্তাব, আর সেই প্রস্তাব না মানলে গোটা পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল 'কাকু'র বিরুদ্ধে। সম্পর্কে যে কিনা ওই নাবালিকার বাবার বন্ধু। একইসঙ্গে ওই নাবালিকাকে অপহরণের হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবার দীর্ঘদিনের বন্ধু অভিযুক্ত। আর সেই সূত্রে ঘরে নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল অভিযুক্তের। বাবার ঘনিষ্ঠ সেই বন্ধুকে 'কাকু' বলেই ডাকত পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত ডিপিএল টাউনশিপের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কুরুচিকর প্রস্তাব পাঠাতে থাকে। সেইসঙ্গে প্রস্তাব না মানলেই আসত নানারকম হুমকি। গোটা ঘটনায় ওই নাবালিকা সহ গোটা পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এমনকি 'কাকু'র এই মানসিক নির্যাতনে মাঝে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল ওই নাবালিকা। ভাগ্যক্রমে বাবা-মায়ের চোখে পড়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় কোনওরকমে রক্ষা পায় সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছে সে।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের নডিহার শ্মশানকালী মন্দিরের বাসিন্দা মানস পাল ওই নাবালিকার বাবার সঙ্গে বন্ধুতার সূত্রে তাদের বাড়িতে এসেছিল বেশ কয়েক বছর আগে। তখনই একপ্রকার পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল দুই পরিবারের মধ্যে। যদিও মাঝে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মাস ছয়েক হল ফের নানা ছুতোয় ওই নাবালিকার বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে অভিযুক্ত মানস পাল। অভিযোগ, এরপর থেকেই ফোনে নানাভাবে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে ওই নাবালিকাকে। হোয়াটসঅ্যাপে নানারকম কুরুচিকর মন্তব্য লিখে পাঠাতে থাকে। কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এমনকি সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বিয়েও করতে চায় বছর পঞ্চান্নর মানস পাল।
আরও অভিযোগ, এই হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন যদি সে কাউকে বলে দেয় বা পুলিসকে দেখানো হয়, তাহলে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি গোটা পরিবারকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয়। সেইসঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সবকিছু ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও ওই নাবালিকাকে শাসায় অভিযুক্ত মানস পাল। পরিবারের অভিযোগ, শুধু মানস পাল নয়, তার সাথে কৌশিক নামে একজনও জড়িত আছে। এই ঘটনায় স্থানীয় কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। তারপরই পুলিস 'কাকু' মানস পালকে গ্রেফতার করে। যদিও ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তের মা। ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, Chit fund: বিত্তশালীদের ডবল রিটার্নের টোপ, ২০০০ কোটির কেলেঙ্কারি! কলকাতায় জালে চিটফান্ড কর্তা