নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির সামনের কদম গাছটি ছিল খুব প্রিয়। সেই গাছ থেকেই উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। ময়নাগুড়ির উল্লারডাবরি গ্রামের গৃহবধূ বিদেশি মজুমদারের আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তে পুলিসের হাতে যে তথ্য উঠে, তা রীতিমতো একবিংশ শতকে অবিশ্বাস্য। 
১৬ বছর আগে উল্লারডাবরি গ্রামের বাসিন্দা ভজন মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয় বিদেশির। তাঁদের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিদেশি। মঙ্গলবার দুপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। কিন্তু কেন? পরিবারের সদস্যরা যা দাবি করছেন, তা সত্যিই চাঞ্চল্যকর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিটি রোডের যানজট কমাতে এবার নয়া উদ্যোগ সরকারের
পরিবারের দাবি, বিদেশির স্বামী ভজন মজুমদারেরও না কি অত্মহননের একটি প্রবণতা ছিল। মাঝেমধ্যেই না কি তিনি গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করতেন। কিন্তু প্রতিবারই কারও না-কারও নজরে পড়ে যাওয়ায় চেষ্টা সফল হয়নি। এর পর ভজনকে এক গুণিনের কাছে নিয়ে যান পরিজনরা। সেই গুনিন দাবি করেন, ভূতে ধরেছিল ভজনকে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঝাড়ফুঁকের পর ঠিক হয়ে যান ভজন। স্থানীয়দের ধারণা, ভজনের সেই ভূত এরপর ভর করে বিদেশির ওপর। আর সেই কারণেই নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ।


আরও পড়ুন: রিনিকার চালচলনে আপত্তি ছিল স্বামী অনিমেষের, বীজপুরের নবদম্পতির দেহ উদ্ধারে নয়া তথ্য
তদন্ত নেমে বিদেশির পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে রীতিমত হতভম্ব পুলিসও। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও কীভাবে এহেন চিন্তাভাবনা করতে পারে মানুষ, তা ভাবতে পারছেন না তদন্তকারীরাও। কুসংস্থারের আঁধার কাটাতে ইতিমধ্যে এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাবের সদস্যরা। তবে বিদেশি কেন আত্মহত্যা করলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয় পুলিসের কাছে।