নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা ৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস টানাপোড়েন। হাওড়া জেলা সংশোধনাগারের ছাদ থেকে নামানো হল বিচারাধীন বন্দিকে। ছাদে উঠে ওই বন্দি চিত্কার করে বলতে থাকে, 'কাটমানি দেব না।' জেলের ভিতরেও দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ করে মহম্মদ সোহেল নামে ওই বন্দি। তার পোস্টারে লেখা ছিল,'দিদিকে ডাকো।' কীভাবে ছাদে উঠে গেল ওই বন্দি? সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাওড়া জেলা সংশোধনাগারের রক্ষীদের নজরে আসে ছাদে উঠে পড়েছে যাবজ্জীবন খুনে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি মহম্মদ সোহেল। গতবছর প্রেসিডন্সি সংশোধনাগার থেকে এখানে আনা হয়েছিল তাকে। হাতে পোস্টারে লেখা,'দিদিকে ডাকো'। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওই বন্দিকে নামানোর চেষ্টা শুরু করে জেল কর্তৃপক্ষ। তার পাল্টা আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকে মহম্মদ সোহেল। মাঝেমধ্যেই নিজের শরীরে ব্লেড দিয়ে আঘাত করতে থাকে সে। কখনও আবার ছাদে রাখা খালি জলের ট্যাঙ্ক উল্টে দেয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। ওই বন্দিকে নামিয়ে আনতে নেমে পড়ে পুলিস, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও কারারক্ষীরা। ছুটে আসেন সংশোধনাগারের সুপার। কিন্তু বারবার বোঝানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়না।


দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ছাদে উঠে পড়েন রক্ষীরা। এবার অবশ্য বার কয়েক বোঝানোর পরেই নেমে আসে সোহেল। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা চোর-পুলিস খেলার পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে। ওই বন্দি অভিযোগ করে, জেলে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা দিতে টাকা লাগে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, জেলের নিরাপত্তা নিয়ে। কীভাবে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জেলের ছাদে উঠে পড়ল বন্দি? ঘটনায় গাফিলতি কার? তদন্ত শুরু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।      


 আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, উনি অনিষ্টমন্ত্রী, রবিবার পথে থাকবে বামেরা, হুঙ্কার সেলিমের