বরুণ সেনগুপ্ত: কাজ দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ? তরুণীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি? স্থানীয় এক  তৃণমূল নেতার 'কীর্তি'তে চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম প্রবীর দে। বাড়ি, পানিহাটির জয়প্রকাশ কলোনীতে। স্রেফ তৃণমূল নেতা নন, তিনি আবার পাড়া কমিটির সেক্রেটারিও। কাজে পাওয়ায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এলাকারই এক যুবতী। তাঁর দাবি, কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁকে বাড়িতে ডেকেছিলেন প্রবীর। যখন বাড়িতে পৌঁছন, তখন ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন তিনি। মদ্যপ অবস্থায় ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে, তৃণমূল নেতা ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। চিৎকার করলে আবার নির্যাতিতাকে ছাদ ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন! খড়দহ থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই তরুণী।


আরও পড়ুন: Cow Smuggling Case: গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীর ১৪ দিনের জেল হেফাজত


অভিযুক্তকে খোঁজে এখন তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। সাংবাদমাধ্যমে সামনে অবশ্য এই বিষয়ে মুখ খোলেননি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রবীর দে। সূত্রের খবব, এই ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। স্থানীয় বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, 'টাকার অহংকারে তৃণমূল নেতারা মানুষকে মাথায় উঠে গিয়েছে। এ রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী'। 


এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটকপুকুরেও গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার দাবি, বাড়ি তখন একাই ছিলেন। ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেছে লতেমান মোল্লা নামে ওই তৃণমূল কর্মী। এমনকী, কাউকে জানালে অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। ঘটনাটি স্বামীকে জানান ওই গৃহবধূ। ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন: Abhijit Gangopadhyay: জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের


এর আগে, বিরোধীদের কাছে ধর্ষণের 'প্রমাণ' চেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা  ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি  আফরোজ মণ্ডলকে। ভিডিয়ো-তে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল,  'বলুক না, যদি ধর্ষণ করা হয়ে থাকে, আমরা ওসি-এসপি গ্রেফতার  করতে বলব। প্রমাণ দেখাক যে ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনি এমনিই মিছিল করে দিয়েছে। যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, মিছিল করে, ঠান্ডা করে দেব। ঠান্ডা করতে গেলে কিন্তু ডাণ্ডার দরকার আছে।  আমরা রাস্তায় নামব, ডান্ডা নিয়ে ঠান্ডা করে দেব'। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা।