নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যরাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল আগরপাড়া আড়াই নম্বর আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা লোকনাথ দাস ওরফে লোকুকে। লোকনাথ পেশায় মৃৎশিল্পী ছিল। বাড়ি বসে ঠাকুর বানাত। শুক্রবার বেলার দিকে কল্যাণী হাইরোডে সোদপুরের কাছে  মুড়াগাছা ঝিলের পাড়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লোকনাথের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। লোকনাথ এলাকার ছেলে হওয়ার জন্য স্থানীয়রা তাকে চিনতে পারে। লোকনাথের পরিবার সূত্রে স্থানীয়রা জানতে পারে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পাশের বাড়ির সোমনাথ ফোন করে লোকনাথকে ডেকে নেয়। এরপরই খুনের সন্দেহে সোমনাথকে না পেয়ে তাঁর ঘনিষ্ট এক যুবককে গণধোলাই দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে জানা গেছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই খুন। সোমনাথ আর লোকনাথের পাশাপাশি বাড়ি। সোমনাথের স্ত্রীর সঙ্গে লোকনাথের অবৈধ প্রেম ছিল।  তাঁর অনুপস্থিতিতে এদের দুজনের অবৈধ প্রেম ক্রমশ জোরাল হয়ে ওঠে। সোমনাথ এটা বুঝতে পারে । বেশ কয়েকবার নিজেই স্ত্রী এবং লোকনাথকে একসঙ্গে দেখেও ফেলেছিল। এরপর থেকেই আক্রোশ বাড়তে থাকে সোমনাথের। খুন করার পরিকল্পনাও করে ফেলে সোমনাথ। কিন্তু নিজের স্ত্রী বা লোকনাথ কাউকে সেটা বুঝতে দেয়নি। বিশ্বকর্মা পূজোরদিন রাতে বন্ধুদের নিয়ে মদের আসর বসিয়ে লোকনাথকে ফোন করে ডেকে নেয় সোমনাথ। মদের আসরে যাওয়ার পর লোকনাথে বুকে সরাসরি গুলি করে সোমনাথ। এরপর বন্ধুদের সহযোগিতায় মুড়াগাছা ঝিলের কাছে দেহ ফেলে দিয়ে আসে।


শুক্রবার বিকেলে লোকনাথ দাসের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর ঘোলায় আজাদহিন্দ নগরের বাড়ি আসতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত সোমনাথের বাড়ী ভাঙচুর চালায়। এরপরে পুলিস এবং র্যা ফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই খুনের ঘটনায় পুলিস এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে দুজন মহিলা আছে। এদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘোলা থানার তদন্তকারী অফিসাররা। মৃত লোকনাথ দাসের পরিবার আটজনের নামে ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।  মুল অভিযুক্ত সোমনাথ এখনও ফেরার। এলাকায় উত্তেজনা এলাকায় পুলিসি টহল চলছে।


আরও পড়ুন- কাছে থেকে দূর রচনার এক কমপ্লেক্স ক্রমশ ছেয়ে ফেলছে নাগরিক জীবন