DA Strike: কাজে যোগ দিতে এসে `ঘাড় ধাক্কা` খেলেন সরকারি কর্মচারী, রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি জোর করে নিজের কাজের জায়গায় পৌঁছে যান বলেও জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন তাঁদের বকেয়া ডিএ যতক্ষন না আদায় হচ্ছে ততক্ষন তাঁদের আন্দোলন চলবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাঁকুড়ায় বনধ ঘিরে ধুন্ধুমার। সরকারি কর্মীদের ঘার ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ বাঁকুড়ার জেলা শাসকের দফতরে। জানা গিয়েছে কাজে যোগ দিতে আসা সরকারি কর্মচারীকে জোর করে ধাক্কা দিয়ে গেটের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলা জুড়ে শুক্রবার সকাল থকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। সরকারি স্কুল, আদালত এবং অন্যান্য চত্তরে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হতে দেখা গিয়েছে কর্মচারীদের। জেলা সাশকের দফতরের মূল গেটে ইতিমধ্যেই দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা স্বেচ্ছায় কাজে যোগ দিতে চাইছেন তাঁদেরকে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে যে একজন ব্যক্তি যখন কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন তখন আন্দোলনকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরে ব্যপক ধাক্কাধাক্কি করেন। তাঁকে কাজে যোগ দিতে না দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি জোর করে নিজের কাজের জায়গায় পৌঁছে যান বলেও জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন তাঁদের বকেয়া ডিএ যতক্ষন না আদায় হচ্ছে ততক্ষন তাঁদের আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে কলকাতার বিকাশ ভবন এবং নব মহাকরনে বনধের মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে।
ঝাড়গ্রাম
শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের মর্নিং স্কুলগুলিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়, স্কুল বন্ধ করে দেয় ধর্মঘট এর ডাক দেওয়া যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। এরপর ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথার মোড়ে মিছিল শুরু করেন। অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবে বলে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেই সঙ্গে তার জেলাশাসক এর মূল দরজা বন্ধ করে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। বিভিন্ন সরকারি অফিসেও তারা গিয়ে কাজে যোগ না দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের আহ্বান জানাবেন বলে ওই সংগঠন সূত্রে জানা যায়। তবে জেলা শাসক অফিস এর দরজার সামনে অবস্থান এর জেরে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ধর্মঘটি দের সরানোর জন্য পুলিস ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: DA, Governor CV Ananda Bose: DA আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহারের আবেদন রাজ্যপালের
দক্ষিণ দিনাজপুর
সকাল থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সদর শহর বালুরঘাটের বিভিন্ন অফিসের সামনে বনধ সমর্থকদের পিকেটিং চলছে। জেলা শাসকের দফতরের সামনে বনধ সমর্থকরা বনধ সফল করার জন্য সরকারি কর্মচারীদের কাছে অনুরোধ করছেন। জেলায় এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা অন্য দিনে তুলনায় কম। জেলা শাসকের দফতরে সকাল থেকে কাজকর্ম শুরু হয়েছে কিন্তু হাজিরা কম রয়েছে। একই ছবি অন্যান্য দফতরেও। দশটা থেকেই কর্মীরা হাজিরা দিতে শুরু করেছেন কিন্তু হাজিরার হার কম।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee, CV Ananda Bose: রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক, উঠল ডিএ-র প্রসঙ্গ
জলপাইগুড়ি
সকাল থেকেই স্কুলের গেটে ধর্মঘটের সমর্থনে ঝুলতে দেখা যায় পোস্টার, তবে সকাল আটটা বাজলে জলপাইগুড়ি ফনিন্দ্র দেব বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুলে পৌঁছয় পুলিস। সঙ্গে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে স্কুলের গেটে লাগানো ধর্মঘটের পোস্টার খুলে দেয়। এর পরেই প্রাথমিক স্কুলের গেট খুলে ভেতরে যেতে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক সহ মিড ডে মিলের রাধুনিদের। তবে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি না থাকায় কার্যত ফাঁকা পরে থাকে স্কুল প্রাঙ্গণ।