Naihati: পিকনিক থেকে ফিরেই ফেসবুকে পোস্ট! আত্মঘাতী তৃণমূল যুবনেতা
কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপদের ইঙ্গিত ছিল ফেসবুকে পোস্টেই! সেই পোস্ট দেখে তড়িঘড়়ি বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বন্ধুরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তৃণমূল যুবনেতা (TMC leader)। ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে (Naihati)।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌম্যকান্তি বিশ্বাস। বাড়ি, নৈহাটির পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শ্যামসুন্দরী তলায়। ভাটপাড়া পুরসভার এক জল প্রকল্পে ঠিকাদারী সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। পরিবারের লোকের দাবি, রবিবার বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে যান সৌম্যকান্তি। সন্ধ্যায় যখন পিকনিক থেকে ফেরেন, তখনও খোসমেজাজেই ছিলেন তিনি। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসে চা খাওয়াই শুধু নয়, বাড়িতে এসেও অন্যদের সঙ্গে গল্পও করেন।
আরও পড়ুন: কলেজের অধ্যক্ষ সহ কর্মীদের মারধর, দা দিয়ে 'কোপানোর চেষ্টা' হিসাবরক্ষকের
তাহলে? বন্ধুরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা আটটা দশ নাগাদ সৌম্যকান্তি ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘ফিরিবার পথ নাহি, দূর হতে যদি দেখ চাহি,পারিবে না চিনিতে আমায়,হে বন্ধু বিদায়।’ এরপরই তড়িঘড়ি তাঁর বাড়িতে যান সকলে। ঘরের দরজা ভেঙে ওই তৃণমূল যুবনেতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সৌম্যকান্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা। কাকা সুব্রত বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিল ও। কী এমন ঘটল যে আত্মহত্যা করল'! দলের যুবনেতা যে এই কাণ্ড ঘটাবে, ভাবতে পারেননি নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিকও। তাঁর কথায়, 'অনেক দিন ধরে ওঁকে চিনি। ওঁদের মতো ছেলেরা বন্ধুর মতো আমার সঙ্গে সমস্ত বিষয় আলোচনা করে। দিন তিনেক আগে একটা সমস্যা হয়েছিল, আমি নিজে বসে মিটিয়ে দিয়েছিলাম'। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।