Canning Suicide Case: কাছের মানুষের সঙ্গে `বিবাদ`! চরম পদক্ষেপ গৃহবধূর; সবজির দোকানে ভয়ঙ্কর পরিণতি যুবকের
দোলের আগে দুই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী ক্যানিং
নিজস্ব প্রতিবেদন: দোলের আগের রাতে স্বামীর সঙ্গে 'বাদানুবাদ', 'মনোমালিন্য'। চরম পদক্ষেপ নিলেন এক গৃহবধূ। একই দিনে নিজের সবজির দোকানে ভয়ঙ্কর পরিণতি হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার রাতে দুটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্যানিং।
প্রথম ক্ষেত্রে অভিযোগ, স্বামীর সাথে বচসার জেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক গৃহবধূ। মৃতের নাম শ্রাবন্তী মিস্ত্রি, বয়স ২৪। জানা গিয়েছে, প্রায় বছর চারেক আগে ফোনের মাধ্যমে চম্পাহাটির বাসিন্দা শ্রাবন্তীর সঙ্গে ঘুটিয়ারিশরিফের উত্তম মিস্ত্রির যোগাযোগ হয়। শুরু হয় প্রেমপর্ব। গত দু'বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বর্তমান তাঁদের একটা ন'মাসের কন্যা সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ দোলের আগের রাতে অর্থাৎবৃহস্পতিবার, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়। এরপর সকলের অলক্ষ্যে বিষ খান ওই গৃহবধূ। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসার পর হাসপাতালেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। ক্যানিং থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
অপর একটা ঘটনায়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। মৃতের নাম জয়দ্রথ নস্কর, বয়স ২৪। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌখালি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবক পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। সাতমুখী বাজারে সবজি বিক্রি করতেন। বাসন্তী থানার পাঠানখালি এলাকার এক মহিলার সঙ্গে তাঁর সঙ্গে ফোনে আলাপ হয়। গড়ে ওঠে প্রেম। দু'জনের বিয়ের কথাও চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ সাতমুখী বাজারের সবজি দোকান থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকেও উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। ক্যানিং থানার পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঠিক কী কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হলেন সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্ভবত প্রেমিকার সঙ্গে বিবাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক।
আরও পড়ুন: Balurghat: শরীরে ডিম্বাশয়! ল্যাবের রিপোর্টে থ বালুরঘাটের ৮৪-র বৃদ্ধ
আরও পড়ুন: Kharar Municipality: বিজেপির সমর্থনে পুরবোর্ড গঠন তৃণমূলের! পদত্যাগ নির্বাচিত চেয়ারম্যানের