অরূপ লাহা:  এলাকায় সরকারি প্রকল্পের অনেকেই ঘর পেয়েছেন। কিন্তু তিনি পাননি! 'বঙ্গধ্বনি যাত্রা'র মিছিল চলে যেতেই রাস্তায় বসে কেঁদে ফেললেন অসহায়  মহিলা। তাঁকে ঘর তৈরি করার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন TMC-র জেলা সহ-সভাপতি। শনিবার এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী থাকল বর্ধমানের গলসি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Shah-র অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর


বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের পোতনা পুরষা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাষাপুর গ্রামের বাসিন্দা চম্পা বাগদি। বছর পাঁচেক আগে মারা যান স্বামী। তিন ছেলে ও এক মেয়ে। স্বামী মৃত্যুর পর অনেক কষ্টে দুই ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে, দুই ছেলে আলাদা সংসার পেতেছে। গ্রামে জরাজীর্ণ ভিটেবাড়িতে ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকেন চম্পা। অভাব এতটাই যে, সেই ছেলে বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেনি। দিনমজুরি করে সামান্য যা রোজগার করে, তা দিয়ে আধপেটা খেয়ে দিন দিন কাটে মা ও ছেলের। জরাজীর্ণ বাড়িটি আর মেরামত করবেন কী করে! চম্পা বাগদি জানিয়েছেন, বর্ষার সময়ে খড়ের ছাউনি থেকে জল চুঁয়ে পড়ে ঘর ভেসে যায়। ত্রিপল টাঙিয়ে কোনওমতে ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন। সরকারি প্রকল্পে একটি ঘর পাওয়ার আশায় বহুবার দরবার করেছেন স্থানীয় নেতাদের কাছে। গিয়েছেন পঞ্চায়েতে অফিসেও। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: মা বলতে হলে ভারত মাতাকে বলব, অন্য কাউকে নয়, পাল্টা Suvendu


সরকারের কাজের খতিয়ান বা রিপোর্ট কার্ড মানুষের দরবারে পৌঁছে দিতে জেলায় জেলায় 'বঙ্গধ্বনি যাত্রা' করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে এদিন গলসি ১ নম্বর ব্লকের ভাষাপুর গ্রামে যান TMC-র পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ-সভাপতি জাকির হোসেন। নিজের দুর্দশার কথা জানিয়ে তাঁর কাছে ফের ঘর তৈরির করে দেওয়ার আবেদন করে চম্পা বাগদি। কিন্তু মিছিল যখন গ্রাম থেকে চলে যায়, তখন আর চোখের জল বাঁধ মানেনি ওই অসহায় মহিলার। রাস্তায় বসেই কেঁদে ফেলেন তিনি।  কী বলছেন স্থানীয় TMC নেতৃত্ব? দলের পূর্ব বর্ধমান জেলার সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, 'বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। চম্পা বাগদির নাম নথিভুক্ত করেছি। তাঁকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।' দুর্দশা ঘুচবে তো? এখন সেটার দেখার।