বিশ্বজিত মিত্র: স্বামী জীবিত, অথচ মিলেছে বিধবা ভাতা। নদিয়ার রানাঘাট দুই নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যায়, বৈদ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক পাল জীবিত থাকা সত্ত্বেও, তার স্ত্রী মিলনরানী পাল পাচ্ছেন বিধবা ভাতা। বিষয়টি জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিধবা ভাতা পাওয়া নিয়ে মিলনরানী পালের সাফাই, আমরা পঞ্চায়েতে বার্ধক্য ভাতার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কি করে সেটা বিধবা ভাতা হয়ে গেল, বলতে পারব না। তবে আমার স্বামী রয়েছেন। এর আগে লক্ষীর ভান্ডার পেতাম। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার বর্তমান বয়স ৬০ বছর।


এই প্রসঙ্গে বৈদ্যপুর-এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান কৃষ্ণ রায় অবশ্য বলেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে অনেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। সেখানে ভুলবশত বার্ধক্য ভাতার পরিবর্তে বিধবা ভাতা হয়ে গিয়েছে। এখানে পঞ্চায়েত বা আবেদনকারীর কোনও ভুল নেই। তবে এর পেছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে। বিজেপি এই সমস্ত কাজ করাচ্ছে।


আরও পড়ুন: Jalpaiguri | Elephant: গভীর রাত, ঘুমন্ত মিনতি দেবীর বিছানার সামনে এ কে! তারপর...


যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বৈদ্যপুর এক নম্বর অঞ্চল সভাপতি বিজেপির অনুকূল সরকার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এটা কালচারে পরিণত হয়েছে। স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও মৃত প্রমাণিত করে, সেই ভাতার টাকা এরাই তুলে খাচ্ছে। অথচ দায় চাপাচ্ছে বিজেপির নামে। অঞ্চলটা তৃণমূলের দখলে। আর এই সরকার চোরদের সরকার, দুর্নীতির সরকার’।


আরও পড়ুন: Keshpur: তৃণমূলের কমিটিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম, আদালতে যাওয়ার হুশিয়ারি বিজেপির


রানাঘাট দুই নম্বর ব্লকের ভিডিও খোকন বর্মন বলেন, ‘আমার কাছে এখনও লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বিষয়টি ঘটেছে। মিলনরানী পালকে আমরা শীঘ্রই নোটিশ করছি। সাত দিনের মধ্যে তাকে তলব করা হচ্ছে। যদি উনি এই কাজটি করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওনার একাউন্টে যে টাকা ঢুকেছে, সেটা নিয়মমাফিক ফেরত নেওয়া হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)