Malbazar: শ্রীরামদর্শনে ডুয়ার্স থেকে টানা সাইকেলে অযোধ্যার রামমন্দিরে যুবক...
Malbazar: পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় নবম শ্রেণি পর্যন্তই পড়াশোনা করতে পেরেছেন তিনি। এরপর লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে দোকানে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। সেই তিনি আজ যাচ্ছেন অযোধ্যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লুকসান থেকে সাইকেল চালিয়ে রামমন্দির দর্শনে অযোধ্যার পথে পাড়ি দিলেন নাগরাকাটার ১৮ বছরের যুবক মানব বিশ্বাস। এলাকার বাসিন্দারা সংবর্ধনায় ভরিয়ে দেন পেশায় দিনমজুর ওই যুবককে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁর রামনগরীতে পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Gangasagar: সুখবর! এবার বিলাসবহুল ক্রুজে চেপে গঙ্গাসাগর...
পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় নবম শ্রেণি পর্যন্তই পড়াশোনা করতে পেরেছেন তিনি। এরপর লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে দোকানে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। তাঁর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সবুজ সাথীর সাইকেলে রয়েছে। সেটি চড়ে অযোধ্যায় যাচ্ছেন তিনি। সকালে তাঁর বন্ধুরা এবং স্থানীয় লোকজনেরা তাঁকে মালা দিয়ে শুভকামনা জানান। পাশাপাশি বন্ধুরাও তাঁর দিকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মানবের মা মালতী মণ্ডল বিশ্বাস জানান, বহু দিন ধরেই ছেলে মোবাইলে রামায়ণ ও মহাভারত দেখত। ভগবান রামের কথা শুনত। রামমন্দির নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে মোবাইলে শুধু রাম মন্দিরের ছবি দেখত এবং সেখানে যাওয়ার ইচ্ছের কথা বলত।
তারপর কী হল?
আরও পড়ুন: Buxa Tiger Reserve: সুখবর! হরিণ ঘাসজমি আর গ্রামবাসীর কল্যাণে বাঘ ফিরছে বক্সায়...
মানবের মা মালতীদেবী আরও বলেন, ছেলে রাম মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা ওকে ট্রেনে করে আগ্রায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু ও রাজি হননি। ছেলের বক্তব্য, কষ্ট না করলে ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না। কষ্ট সহ্য করেই রামের নগরী অযোধ্যায় যাবে সে। ও সেইমতোই কাজ করেছে। সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এখন আমি ভগবান রামের কাছে প্রার্থনা করি, আমার ছেলে যেন নিরাপদে অযোধ্যায় পৌঁছতে পারে আর যেন রামদর্শন করে নিরাপদেই সে বাড়ি ফিরে আসতে পারে।